তিন তারকার আহ্বান
করোনাভাইরাসের ছোবলে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। স্থবিরতা নেমে এসেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। মাঠে খেলা নেই। ক্রিকেটাররা ফিরে গেছেন যার যার আবাসে। খেলা নেই বলে অনেকেই অলস সময় কাটাতে চাইছেন। কিন্তু পেশাদার ক্রিকেটাররা নিজেদের ফিট রাখতে সর্বোচ্চটাই করবেন বলে জানিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে তিন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিকুর রহিম, সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ও সাবেক ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেন। এরা সবাই বিশ্বাস করেন পেশাদার ক্রিকেটারদের নিজ উদ্যোগেই নিজেদের ফিট রাখবে। ফিটনেস ঠিক রাখতে অনুশীলন করলেও যেন সেখানে সতর্কতা থাকে সবার, এটা বলতে দ্বিধা করেননি তিনজন – ক্রীড়া প্রতিবেদকজীবনের কথাই ভাবতে হবে আগে : পাইলট
করোনাভাইরাস কবে শেষ হবে, কেউ কি নিশ্চিত করে বলতে পারবে? কেউ জানে না, কবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থামবে। এই মরণঘাতী ভাইরাসের আক্রমণে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা পৃথিবীর খেলাধুলা এবং জীবন আজ স্থবির হয়ে গেছে। মনে রাখতে হবে, সব কিছুর আগে জীবন। জীবন বাঁচলেই বাকি সব কিছু করা সম্ভব। খেলাধুলা জীবনেরই অংশ। আমি মনে করি, একজন পেশাদার ক্রিকেটারকে নিজ থেকে নিজেকে ফিট রাখতে হবে। কীভাবে? ফিটনেস ঠিক রাখতে অনুশীলন করতে হবে। সেটা হয়তো ব্যাটিং কিংবা বোলিং করে নাও হতে পারে। কিন্তু বাড়ির সামনে মাঠে দৌড়ে কিংবা জিমে ফিটনেস বাড়াতে পারে। অবশ্য জিমেও সমস্যা। কারণ সেখানে স্পর্শের বিষয়টি থাকছে। তাই আমি মনে করি, গ্লাভস পরে জিম ওয়ার্কস করা যায়। একজন
পেশাদার ক্রিকেটারকে নিজ থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে খেলাটা পেশা। কিন্তু তার আগে এটা ভালোবাসা। মানুষ পেশা বদলাতে পারে। কিন্তু ভালোবাসা হারাতে রাজি নয়।
নিজেই নিজেকে ফিট রাখতে হবে : মুশফিক
পরিশ্রম, পরিশ্রম এবং শুধুই পরিশ্রম- টেস্ট ক্রিকেটে তিন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিকুর রহিমের মূল মন্ত্র। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার মুশফিক। করোনাভাইরাসে বাংলাদেশের কোথাও কোনো খেলা নেই। স্থগিত হয়েছে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট। ক্রিকেটাররা এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন। ছুটি পেয়ে ক্রিকেটাররা সবাই ফিরে গেছেন নিজ নিজ আবাসে। মাঠে খেলতে পারছেন না বলে সবাই হতাশ। তবে মাঠের খেলা না থাকলেও ক্রিকেটাররা সতর্ক করছেন সবাইকে। নিরপদে থাকতে বলছেন দেশবাসীকে। ঘরে বসে থাকলেও নিজেকে প্রস্তুত রাখতে অনুশীলন করছেন মুশফিক। ঘরে ট্রেডমিলে দৌড়াচ্ছেন-এমন একটি ছুটিতে সাবেক অধিনায়ক টুইটারে টুইট করেছেন। বিশ্রামে যাওয়ার আগে মুশফিক জানিয়েছিলেন, ছুটিতে নিজেকে ফিট রাখবেন। সেই পরিকল্পনা এঁকেই অনুশীলন করছেন। বলছেন, ‘সবদিক দিয়ে নিজেকে এবং অন্যদের নিরাপদ রেখে মাঝে মধ্যে ইনডোরে ব্যাটিং করব। জিম এবং রানিংও করব ইনশাআল্লাহ।’
আগে জীবন, পরে ক্রিকেট : সানোয়ার
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া যাবে না কোনোভাবেই। যদিও পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে কোনোভাবেই বোঝা সম্ভব নয়, কার শরীরে কভিড-১৯ ভাইরাস রয়েছে। সাবধান থাকতে হবে সবাইকে। সবার আগে নিজের জীবনের কথা ভাবতে হবে। মনে রাখতে হবে বাঁচলেই সবকিছু করা সম্ভব। ক্রিকেটাররা আলাদা কেউ নন। তারাও মানুষ। অন্যদের মতো তাদেরও পরিবার পরিজন রয়েছে। পেশাদার ক্রিকেটারদের সবার আগে নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। একই সঙ্গে পরিবারের কথাও ভাবতে হবে তাদের। কারণ, তারা যদি সুস্থ থাকেন তাহলেই পরিবারের সদস্যরাও ভালো থাকবেন। করোনাভাইরাসে খেলা বন্ধ শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে। ফুটবলার, ক্রিকেটারসহ সব ক্রীড়াবিদই কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তা দিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন। সেখানে নিজেদের ফিট রাখার জন্য অনুশীলন করছেন। আমি যতটুকু জানি, সেটা হচ্ছে বিসিবি তার ক্রিকেটারদের একটি গাইডলাইন
দিয়ে দিচ্ছে। সেটা অনুসরণ করতে হবে তাদের।