বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বাবা-মাকে কুপিয়ে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেল বখাটেরা

0

মেয়েটি কেবল নবম শ্রেণিতে পড়ে। মা-বাবা তাকে উচ্চশিক্ষিত করতে চান। তবে সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এলাকার বখাটে যুবক। 
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অবশেষে শনিবার গভীর রাতে বাড়ি ভাঙচুর ও বাবা-মাকে কুপিয়ে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নেওয়া হয় ওই ছাত্রীকে। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দিয়েও রেহাই পায়নি ছোট্ট মেয়েটি। ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে ও খুঁচিয়ে তার মুখের দাঁত ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় তুলে নেওয়া হয়। মুক্তাগাছার সত্রাশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সহযোগীদের নিয়ে বখাটে জাফর এ হামলা চালায়। 
মেয়েটির বাবাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। মা অসুস্থ শরীর নিয়ে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে শুধুই কাঁদছেন। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করলেও ওই শিক্ষার্থীকে দু’দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। 
স্থানীয় অনেকেই জানান, মেয়েটি দেখতে-শুনতে ভালো হওয়ায় এলাকার বখাটে ও নেশাগ্রস্ত জাফর তার পিছু নেয়। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত। বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রস্তাব দেয় তার বাবা-মায়ের কাছে। কিন্তু কিছুতেই মেয়ের বিয়েতে রাজি হননি তার বাবা-মা। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বাড়িতে ঢুকে মাকে মারধরও করত ওই বখাটে। এরই মধ্যে গত শনিবার রাত ২টার দিকে ঘরের দরজা খুলতে রাজি না হওয়ায় ওই বখাটে ও তার সহযোগীরা টিনের বেড়া কেটে ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তার মা-বাবার ওপর হামলা চালানো হয়। মেয়েটি নিজেকে রক্ষা করতে পুকুরে ঝাঁপ দিলেও সেখান থেকেই ধরে আনা হয়। তাদের সঙ্গে যেতে না চাইলে তাকেও ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। ব্যাটের আঘাতে তার একটি দাঁতও পড়ে যায়। তাদের চিৎকার শোনার পরও এলাকাবাসী সাহস পায়নি এগিয়ে আসতে। এ অবস্থায়ই মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় ওই বখাটে ও তার লোকজন। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েক নারী গণমাধ্যমকে বলেন, জাফরের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। তারা এ ঘটনার শাস্তি দাবি করেছেন। 
ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া অপহৃত স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com