লুঙ্গি-মালানের নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

0

লুঙ্গি এনগিডি ও ইয়ানেমান মালানের নৈপুণ্যে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুর্দান্ত এই জয়ে বল হাতে একাই ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট নিয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখেন লুঙ্গি এনগিডি। পরে ওপেনার ইয়ানেমান মালানের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কুইন্টন ডি ককের দল। ২৭২ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ৯ বল বাকি থাকতে।

টস জিতে বুধবার ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। ২৩ বলে ৩৫ রান করা বাঁহাতি ওপেনারকে ফিরিয়ে ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন এনগিডি। পরে পরপর দুই বলে স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেনকে ফিরিয়ে সফরকারীদের বড় একটা ধাক্কা দেন এই পেসার। একই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে গড়েন সবচেয়ে দ্রুত ৫০ উইকেটের রেকর্ড।অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা হতে পারতো আরও খারাপ। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে লেগ স্লিপে তাবরাইজ শামসির বলে জনজন স্মাটসের হাতে জীবন পান অ্যারন ফিঞ্চ। ১১ রানে আন্দিলে ফেলুকওয়ায়োকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান ডার্সি শর্ট। পরে জীবন পান ১৮ রানে।

ফিফটি পান দুই ব্যাটসম্যানই। শর্টের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়া অধিনায়ক ফিঞ্চ ৮৭ বলে করেন ৬৯। মিচেল মার্শের সঙ্গে ৬৬ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়া শর্টও ফিরেন ৬৯ রানে। তিনি খেলেন ৮৩ বল।

শেষে ঝড় তুলতে পারেননি কেউই। এনগিডি ও আনরিক নরকিয়ার দারুণ বোলিংয়ে শেষ ১০ ওভারে ৪৯ রান তুলতে শেষ ৬ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৫৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার এনগিডি। এই পেসারের আগের সেরা ছিল ৪/৫১। প্রথম স্পেলে খরুচে বোলিং করা নরকিয়া ২ উইকেট নেন ৫৯ রানে।

রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। শূন্য রানে ডি কককে বোল্ড করে দেন মিচেল স্টার্ক। স্মাটসের সঙ্গে ৯১ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আগের ম্যাচে গোল্ডের ডাকের তেতো স্বাদ পাওয়া মালান।

স্মাটসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জ্যাম্পা। কাইল ভেরেইনকে দ্রুত ফেরান প্যাট কামিন্স। চাপে পড়ে যাওয়া স্বাগতিকদের কক্ষপথে ফেরা হাইনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে মালানের ৮১ রানের জুটি।

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ৫২ বলে ৫১ রান করা ক্লাসেনকে বিদায় করে বিপজ্জনক জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার জ্যাম্পা। ডেভিড মিলারকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন মালান। চার ছক্কা ও সাত চারে এই ওপেনার অপরাজিত থাকেন ১২৯ রানে। তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রানের জুটিতে মিলারের অবদান ৩৭।

আগামী শনিবার পচেফস্ট্রুমে হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com