নিউজিল্যান্ডকেও দাঁড়াতে দিল না ভারত
ওয়েলিংটন টেস্টে প্রথম ইনিংসটাই পিছিয়ে দিয়েছিল ভারতকে। পরে ঘুরে দাঁড়ানো আর সম্ভব হয়নি, ১০ উইকেটের লজ্জার হার নিয়েই শেষ করে বিরাট কোহলির দল। ওই টেস্টে দুই ইনিংসে একবারও দুইশর ঘর ছুঁতে পারেনি সফরকারিরা।
ক্রাইস্টচার্চেও কি একই রকম পরিণতি হবে? প্রথম ইনিংসে এবার দুইশ পেরোলেও সেই শঙ্কা কিন্তু ঘিরে ধরেছিল ভারতীয় সমর্থকদের। কোনো টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানের সংগ্রহকে মোটেই ভালো বলবার উপায় নেই। তার ওপর ভারতের এই রানের জবাবে প্রথম দিন শেষে বিনা উইকেটেই ৬৩ রান তুলে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড।
কিন্তু টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল বিরাট কোহলির দল। ছোট পুঁজি নিয়ে প্রতিপক্ষকেও মাথায় চড়ে বসতে দেননি মোহাম্মদ শামি-জাসপ্রিত বুমরাহরা। চা বিরতির আগে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেছে ২৩৫ রানেই। অর্থাৎ ৭ রানের লিড পেয়েছে ভারত।
ভারতীয় বোলারদের তোপে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। আগের দিনের দলীয় সংগ্রহের সঙ্গে ২ রান যোগ করতেই উমেশ যাদবের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন টম ব্লান্ডেল (৩০)।
এরপর কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ৩ রানেই সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন জাসপ্রিত বুমরাহ। আরেক ব্যাটিং ভরসা রস টেলর ১৫ করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে ক্যাচ দেন উমেশকে।
তারপরও একটা প্রান্ত ধরে দারুণ খেলে যাচ্ছিলেন টম লাথাম। কিন্তু কিউই ওপেনারের হাফসেঞ্চুরি (৫২) পূরণ হওয়ার কিছু পরেই দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড আউট করেন মোহাম্মদ শামি। লাঞ্চের আগে আরও একটি উইকেট তুলে নেন শামি। এবার তার শিকার হেনরি নিকোলস (১৪)।
উইকেট হারানোর সেই ধারা লাঞ্চের পরও অব্যহত ছিল স্বাগতিকদের। ১৭৭ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে দুইশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল উইলিয়ামসনের দল।
তবে বোলিংয়ে সাফল্য পাওয়া কাইল জেমিসন ব্যাট হাতেও নয় নম্বরে নেমে খেলে দিয়েছেন ৪৯ রানের এক ইনিংস। শামির বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনিই আউট হন।
৮৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার এই শামি। ৩টি উইকেট পান জাসপ্রিত বুমরাহ। জাদেজা ২টি আর উমেশ নেন ১টি উইকেট।