চাপ উড়িয়ে জয়ের অপেক্ষায় মাশরাফি
সিলেটে জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের খুব একটা আগ্রহ নেই! সকাল থেকে মাইকিং করে টিকিট কেনার আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু টিকিট বুথে দর্শকদের খুব একটা সাড়া নেই যেন। তাই আজ মাঠ ভরবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তবে মাঠের খেলা নিয়ে আগ্রহ না থাকলেও সবার চোখ মাশরাফি বিন মুর্তজার দিকে। প্রশ্নও তাকে ঘিরেই। তবে কি শেষ মাশরাফির নেতৃত্বের অধ্যায়! যদিও সংবাদ সম্মেলনে ওয়ানডে অধিনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন এইসব ভাবনা তার নয়। যা করার বিসিবি করবে। তার এখন দলকে জয়ে ফেরানোর লড়াই ছাড়া অন্য কোনো ভাবনা নেই।
কারণ, গেল বছর জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ড ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষ জিতেছিল টাইগাররা। এরপর হেরেছে টানা ৩ ম্যাচ। আর দেশের মাটিতে হিসাব করলে সেই ২০১৮ এর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেটি ছিল এই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই। তাই সেই মাঠেই ওয়ানডেতে জয়ে ফেরার মিশন শুরু হচ্ছে আজ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে গড়াবে দুপুর ১টায়। এই ম্যাচে চাপ থাকলেও তা উড়িয়ে নিজেদের জয়ের লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছেন অধিনায়ক। ২০১৩-তেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ দল। এরপর আর কোনো সিরিজ হারেনি। তবে আজ সফরকারীদের শক্তিকে কোনোভাবে ছোট করে দেখতে চান না অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন র্যাঙ্কিংয়ের এক দুই নম্বর দলের সঙ্গে খেলি তখন তারাও একই চাপ অনুভব করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি যার বিপক্ষেই খেলেন, গণমাধ্যম, সমর্থকের এক্সপেকটেশন থাকে। যখনই আপনি লাল-সবুজের জার্সিটা গায়ে দেবেন তখন অটোমেটিক একটা চাপ থাকেই। খুবই নরমাল জিনিস, এই চাপ সামলানোর মতো ক্ষমতা দলের সবারই আছে। খারাপ সময়ও আসে, জাতীয় দলে খেললে এই চাপটা আসবেই, মানসিক ব্যাপার।’ শুধু তাই নয়, বাগে পেয়ে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করাও সহজ নয় বলে মনে করেন তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘ছোট ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ে বেশ শক্তিশালী। এই ফরম্যাটে তারা অনেক অভিজ্ঞ। অবশ্যই আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে চাই। কাল (আজ) শুরু করছি। এরপর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে খেলবো। এটা বলা মুশকিল যে আমরা তিন ম্যাচেই জয় পাবো। তবে জয় দিয়েই শুরু করাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’