গুমের দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের গ্রেফতারি পরোয়ানা পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীর ১২ দপ্তরে পাঠানো হয়েছে এই পরোয়ানা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়।
এ প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার বিকেলেই দুই মামলায় ২৮ আসামির বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা আইজিপি ও ১২টি দপ্তরে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
১২ দপ্তর হলো- চিফ অব আর্মি স্টাফ, চিফ অব জেনারেল স্টাফ, অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল (আর্মি হেডকোয়ার্টার), ডিজি ডিজিএফআই, ডিজি এনএসআই, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন), প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, ডিরেক্টর মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, ডিরেক্টর পারসোনেল সার্ভিস ডিরেক্টরেট (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী), কমান্ডেন্ট আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট, প্রভোস্ট মার্শাল এবং সিইও (আর্মি এমপি ইউনিট ফর ইনফরমেশন)।
এর আগে, বুধবার (৮ অক্টোবর) টিএফআই সেলে গুমের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১। একই সঙ্গে জেআইসিতে গুমের ঘটনায় আরেক মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গুমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। একই দিন সকালে এ দুই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
মামলায় ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ ডিজিসহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই এখনো কর্মরত রয়েছেন। তবে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিলের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী তারা কোনো পদে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।