এশিয়া একাদশের স্কোয়াডে পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটার না থাকায় টুইটারে সমালোচনার ঝড়
আগামী মাসের ২১ ও ২২ তারিখ শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ব একাদশ ও এশিয়া একাদশকে নিয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
এশিয়া একাদশের স্কোয়াডে রয়েছেন বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও নেপালের খেলোয়াড়। সর্বোচ্চ ভারত থেকে ৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণের কথা শোনা যাচ্ছে। তবে স্কোয়াডে এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের খেলোয়াড় থাকলেও নেই পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড়। তাই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড় না থাকার কারন হিসেবে ধরা হচ্ছে পিএসএল এর কথা। পিএসএলের খেলা একই সময় থাকায় কোনো খেলোয়াড় পাঠাতে পারবেনা পাকিস্তান, কয়েক মাস আগে এমনটিই জানিয়েছিলো বিসিবি। টুইটারে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন স্কোয়াডে পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড় না থাকা নিয়ে। তাদের দাবি টি টোয়েন্টিতে ১ নম্বর দল পাকিস্তান ও ১ নং ব্যাটসম্যান বাবর আজম না থাকার পরও পাকিস্তানকে ছাড়া কীভাবে স্কোয়াডের নাম হয় এশিয়া একাদশ। কেউ কেউ বিসিসিআইয়ের ষড়যন্ত্রও দেখছেন।
এক নজরে টুইটারে সমালোচনা….
শ্রীশান্ত শাহ : পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড় না থাকলে সত্যিকারের এশিয়া একাদশ হতে পারে না। দুঃখের বিষয় যে বোর্ডগুলি এটি করতে পারেনি। এবং আমি কেবল একটি নয়, পাঁচটি বোর্ডকেই দোষ দিচ্ছি।
নাজিবুল হাসনাইন : বিশ্ব একাদশের মুখোমুখি হওয়া কী লজ্জাজনক এশিয়া একাদশের, তাও পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা ছাড়াই। মনে রাখবেন, টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান এক নম্বরে।
বন্ধুরা লাইক পিএসএল : আমি আনন্দিত যে কোনো পাকিস্তানি খেলোয়াড় এতে জড়িত না, সুতরাং এটি পাকিস্তান ছাড়া অসম্পূর্ণ এশিয়া একাদশ। ভারত আর কত নিচে নামবে একদিন তো মাথা নত করতেই হবে। গর্বিত পাকিস্তানি।
ফাইজান মালিক : কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটার ছাড়াই এশিয়া একাদশ। এতোটা পক্ষপাতদুষ্ট। আইসিসি আমরা আশা করি এটি একটি অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ হবে। বাংলাদেশ ও ভারত নোংরা কৌশল খেলছে। বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দলের খেলোয়াড়রা তার মহাদেশীয় দলের অংশ হবে না।
রানা আসিম : এটি কীভাবে সম্ভব পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড় নেই এশিয়া একাদশে। এটি বৈঈমানী একাদশ।