পৃথক ৩ হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সালমান-আনিসুলসহ ৭ জনকে
জুলাই অভ্যুত্থান কেন্দ্রিক রাজধানীর ২ থানার পৃথক ৩ হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ৭ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
বাকিরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি সাদেক খান ও সায়েদুল হক সুমন।
মামলাগুলোর মধ্য, মোহাম্মদপুর থানার শাহরিয়া হোসেন রোকন হত্যাচেষ্টা মামলায় আনিসুল, সালমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। এছাড়া মুগদা থানাধীন আইনজীবী আব্দুল আছেত শামীম ও মোহাম্মদপুর থানার শাহরীয়া হোসেন রোকন হত্যাচেষ্টা মামলায় সাদেক খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আনিসুলসহ ৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন ময়ূর ভিলার রাস্তায় বেলা ১১টায় আন্দোলনে অংশ নেন শাহরিয়ার হোসেন রোকন। এদিন আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার বাম পায়ে লাগলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়।
সুমনের মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী আব্দুল আছেত শামীম আদালতের কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মুগদা থানাধীন বাবু ডাক্তারের গলিতে আসামির ছোঁড়া রাবার বুলেট তার হাত, কপাল, বুক, চোয়াল ও পেটে লাগে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তিনি। পুনরায় শরীরে জটিলতা দেখা দিলে ২০ আগস্ট মুগদা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫১ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মুগদা থানায় মামলা করেন। মামলায় সায়েদুল হক সুমন ২৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
সাদেক খানের মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন ময়ূর ভিলার রাস্তায় বেলা ১১টায় আন্দোলনে অংশ নেন শাহরিয়ার হোসেন রোকন। এদিন আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার বাম পায়ে লাগলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী রোকনের বাবা মনির হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।