গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়নি, আর সেটা হতে পারে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে: নজরুল

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা বিস্মিত হই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল রায় দেওয়ার পরেও আমাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যিনি মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছেন, প্রশাসনিক ক্ষমতায় তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। যে নির্বাচন কমিশনকে এই অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছে, সেই কমিশন স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করলেও তাদের (নির্বাচন কমিশন) হুমকি দেওয়ার জন্য ঘেরাও করার কর্মসূচি হচ্ছে। বিষয়গুলো ভালো দৃষ্টান্ত নয়।’

বুধবার (২১ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা–কর্মীরা। আজ বেলা সোয়া একটার দিকে এনসিপির নেতারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কমিশন কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেন। ময়মনসিংহে দলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম খান।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গত সাড়ে ৯ মাস তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) দায়িত্ব পালন করে চলেছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বর্তমান সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে এখনো প্রশ্ন তুলিনি। কিন্তু বেশ কিছু বিষয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারে থেকে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ আমাদের ভালো লাগে না। কারণ, আমরা সরকারটাকে পছন্দ করি।’

বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লজ্জাজনক পলায়ন করতে হয়েছে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারকে। যে কারণে আমরা প্রথম বলেছিলাম, গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়নি। আর সেটা হতে পারে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। কারণ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা বা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতার হাতবদল হয় না। এসব প্রতিষ্ঠানের আইন প্রণয়ন বা বদলের ক্ষমতা নেই। এগুলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যম হতে পারে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যম হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যে জাতীয় সংসদ আইন বানাতে পারে, সংবিধান বদলাতে পারে। আমরা বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক।’

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আমরা সংস্কারও চাই। আমাদের চেয়ে বেশি সংস্কার আর কোনো দল চায় না। বিএনপি যখন সংস্কারের প্রস্তাব করে, তখন বহু রাজনৈতিক দল সংস্কারের দন্ত্য–স উচ্চারণ করেনি, আবার অনেকের জন্মও হয়নি।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.