হিন্দি গানে নেচেছি, কারও মন্তব্যে কিছু যায় আসে না: সেই অধ্যক্ষ
ভাষার মাসে হিন্দি গানের তালে তালে ছাত্রীদের সঙ্গে ড্যান্স করাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন না চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সেই অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন।
হিন্দি গানে ছাত্রীদের সঙ্গে নাচ নিয়ে কে কী মন্তব্য করল তাতেও তার কিছু যায় আসে না বলে মনে করেন তিনি।
গত শনিবার কলেজ চত্বরে অনুষ্ঠিত বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে হিন্দি গানের তালে তালে পাঞ্জাবি-টুপি পরে ছাত্রীদের সঙ্গে নাচেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন।
ওই নাচের একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
স্থানীয়রা বলছেন, ভাষার মাসে হিন্দি গানের সঙ্গে মঞ্চে যেভাবে নৃত্যু করা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর। একজন শিক্ষক বা অধ্যক্ষের কাছে থেকে এ রকম অশ্লীল নৃত্য কোনোভাবেই তারা আশা করেন না।
ইসলামিক পোশাকে ভাষার মাসে একজন প্রিন্সিপালের এ রকম নাচ জেলাজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন তারা।
এ ধরনের কাণ্ডে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই।
তবে কারও সমালোচনাকেই কর্ণপাত করছেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন বলেন, ‘আসলে গানের বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে ওরা (ছাত্রী) নাচছিল। সেই হিসেবে ওরা আমাকে (মঞ্চে) উঠাইছে। এখানে বাংলা, হিন্দি বা ইংলিশ গান চালানো যাবে না এ রকম কোনো নির্দেশনা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে সোসাইটির লোকজন যে যাই ভাবুক না কেন, আমার তো কোনো ইলমোটিভ (অসৎ উদ্দেশ্য) ছিল না। ‘এমনি ওদের সঙ্গে ফান করেছি জাস্ট। ফান হয়ে গেছে। এটার জন্য মানুষ যে মন্তব্যই করুক না কেন আমার কিছু যায় আসে না’ যোগ করেন আলাউদ্দিন।