অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ভালো কিছু করতে চান জাহানারা

0

অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ১০ দলের বিশ্বকাপে এক-দুটি জয় পেলে র‌্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের একটু এগিয়ে নেয়া যাবে। এতে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট নিশ্চিত হতে পারে। সে লক্ষ্য সামনে রেখেই ভালো কিছুর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ টাইগ্রেসরা। বাংলাদেশ পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেয়া জাহানারা আলম অস্ট্রেলিয়ার সহায়ক কন্ডিশনে নিজেদের সেরাটা দিতে চান। চতুর্থবারের মতো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া এই নারী পেসার মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার থেকে দল ভালো স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারবেন তারা। ছয় স্পিনারকে নিয়ে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলে তার সঙ্গে আছেন বাঁহাতি পেসার নাহিদা আখতার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি। সেদিন ভারতের বিপক্ষে খেলবেন সালমা-জাহানারা।

জাহানারা আত্মবিশ্বাসী। অস্ট্রেলিয়ায় ১০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার পর সেখানে আরো ভালো করার অস্ত্র খুঁজে পেয়েছেন তিনি। আইসিসি সঙ্গে আলাপকালে দেশসেরা এই নারী পেসার বলেন, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ায় খেলার ব্যাপারে রোমঞ্চিত, কারণ শুনেছি এখানকার পিচ বাউন্সি, এবং উইকেট থেকে সহায়তা পাবো। এখানে আমি দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারছি। কিছুটা ভিন্নতা পাচ্ছি। তাই আমি বেশি রান দিতে চাই না। আর দলের হয়ে সেটিই হবে আমার মূল ভূমিকা।’
দলীয় পারফরম্যান্সটাকেই বড় করে দেখছেন জাহানারা। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল শক্তি হচ্ছে একতা। দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি, আমরা আত্মবিশ্বাসী। এটি আমাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ। এখন আমরা আগের চেয়ে অভিজ্ঞ। যদিও প্রথমবারের মতো আমরা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি।’ জাহানারার টি- টোয়েন্টি রেকর্ড চমৎকার। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৫৫ উইকেট তার। সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারির আসনে রয়েছেন অধিনায়ক সালমা খাতুন। বাংলাদেশ দলের হয়ে এখন পর্যন্ত অর্জিত সেরা সফল্যের অংশও ছিলেন জাহানারা। ২০১৮তে ঐতিহাসিক ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের সময় উইনিং রানটি আসে তার ব্যাট থেকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে ১৩ ম্যাচে অংশ নিয়ে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। তবে গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বছাইপর্বে ৫ ম্যাচের সবকটিতে জিতে মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করে সালমা-জাহানারারা।
এবার বাংলাদেশ সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করবে অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদের পারফরম্যান্সের ওপর। যিনি ২০১৭ সালে আইসিসির উঠতি তারকার মর্যাদা পেয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া মহিলা বিগ ব্যাশ লীগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে রুমানার। তিনি বলেন, ‘সেটি ছিল আমার জন্য দারুণ সুযোগ। প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে আমি অনেত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমি শিখেছি কীভাবে বড় দল ও খেলোয়াড়রা খেলার প্রস্তুতি নেয়। প্রতিটি অনুশীলন সেশনে আমি অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। বিশেষ করে জিম ও ফিটনেস সেশনে।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com