ভারত বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না: নজরুল
ভারত বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সীমান্তে যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, আমরা কখনো চাই না যে, নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অবনতি হোক। কিন্তু, আমরা কখনো এটাও মানতে রাজি নই যে, তারা এমন কিছু করুক যাতে বোঝা যায়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, কাঁটা তারের বেড়া দিতে পারেন তারা। এটা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য করতে পারেন। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে সেই বেড়ায় ফেলানি ঝুলে থাকবে— এটা গ্রহণযোগ্য না। আমরা মনে করি যে, সীমান্তে যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হওয়া দরকার। আলোচনা করে যেটা ভালো হয়, উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য, সেটা হওয়া উচিত।
গতকাল রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বৈরশাসকের পতনের পর আমরা চেয়েছিলাম জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারুক এবং তাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে। এমন কিছু যোগ্য মানুষের হাতেই আমরা দায়িত্ব দিয়েছিলাম। আশা করছি, তারা জনগণের দুর্ভোগ যাতে কমে সে চেষ্টা করবে এবং যত দ্রুত গণতন্ত্রে ফেরত যাওয়া যায় তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে।
ভ্যাট বাড়ানো প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একটা বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা মনে করি, যে সিদ্ধান্ত জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয় তেমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার জনপ্রিয় থাকতে পারে না। অথচ আমরা এই সরকারকে জনপ্রিয় দেখতে চাই। আমরা মনে করি যে, সরকারের অন্য পথ গ্রহণ করা দরকার। এই সরকার যদি জনপ্রিয়তা হারায়, তাহলে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররাই খুশি হবে। আমরা যারা আন্দোলনে ছিলাম, তারা কেউ খুশি হবো না। আমরা আশা করব, সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না, যে সিদ্ধান্ত তাদের জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যারা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলাম, একসঙ্গে যারা আন্দোলন করেছি, তাদের সবার সঙ্গে মতবিনিময় করছি। এই মতবিনিময় শেষে এ বিষয়ে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।