ইভিএম এ যে জালিয়াতি করা যায় তা সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে — খন্দকার মোশাররফ হোসেন
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে নির্বাচন পরবর্তী বিশ্লেষণ করার জন্য আমরা এখানে বসেছি। আমরা যা বক্তব্য শুনেছি, নির্বাচনে ৭-৮ % এর বেশি মানুষ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয় নাই। তারপরও দক্ষিণে ২৯% এবং উত্তরে ২৫% ভোট কাস্টিং দেখানো হয়েছে ইভিএমের কারচুপির মাধ্যমে। এই মেশিন যে গ্রহণযোগ্য নয়, ত্রুটিপূর্ণ-এটা প্রমাণিত হয়েছে এই নির্বাচনে। ১০% এর উপরে যে ভোট ঘোষণা করা হয়েছে সবটাই ইভিএমের মাধ্যমে কারসাজি করে করা হয়েছে। ইভিএম যে ক্রটিপূর্ণ এটাতে জালিয়াতি করা যায় সেটা এই নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রমাণ করেছেন।
রোববার, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০, নয়া পল্টনে আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা সিটি দক্ষিণের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে কাউন্সিলরবৃন্দের রুদ্ধদ্বার মতবিনিময়সভায় এই বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনে আমাদের সফলতা গণতন্ত্র যে দেশে নাই-সেটা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ভোটের প্রতি জনগনের অনিহা, এই সরকারের প্রতি অনাস্থা। দেশ এবং জাতি একটা অশনি সংকেত পাচ্ছে এবং আমরা একটা অন্ধকার গহরবের দিকে ধাবিত হচ্ছি।
আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে একমাত্র কারণ হলো দেশনেত্রী গণতন্ত্রের পক্ষে বলেই, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার যাতে না হয় সেজন্য তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। আজকে কাউন্সিলর প্রার্থীরা এখানে শপথ গ্রহণ করেছেন ওয়ার্ড-থানাসহ সকল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করে, আরো শক্তিশালী করে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করবে।
আমরা আশা করি, ঢাকা মহানগরী সারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে আজকে প্রস্তুত।