রাজনৈতিক ইস্যুতে আবারও যুগপৎ সঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি
রাজনৈতিক ইস্যুতে আবারও যুগপৎ সঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর দুই বার বৈঠক করেছে দলটি। আগামীকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চারটি দল-জোটের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অংশ নেবেন।
মূলত কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে বৈঠক ডেকেছে বিএনপি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি বিষয়ের একটি হচ্ছে, সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হবে দলগুলোকে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নানা বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে ‘সুচিন্তা করার’ পক্ষে বিএনপি। এই বার্তাটি যুগপৎ সঙ্গীদের দিতে চায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সূত্রের দাবি, দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়। এই রায় বাতিলের পর গণভোট ফেরায় এ বিষয়ে সরকারের চিন্তা আসলে কী, তা নিয়ে বোঝাার চেষ্টা করছে বিএনপি। বিশেষ করে গণভোট আয়োজনের পেছনে নির্বাচন পদ্ধতি নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকাল- তাও বোঝার চেষ্টা করছে দলটি।
দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল বলেন, ‘বিরোধ করে বা চাপে ফেলে সরকারের কাছ থেকে স্বার্থ উদ্ধার হবে নাকি বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সামনে যাবে বিএনপি, এ নিয়ে নেতৃত্বের মধ্যে চিন্তা রয়েছে। এই বিষয়গুলো যুগপৎ দলগুলোর বৈঠকে উঠে আসতে পারে।’
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক সদস্য জানান, বিকাল ৪টা থেকে গুলশানে বৈঠক শুরু হবে। প্রথমে ১২ দলীয় জোট, এরপর জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এতে লিয়াজোঁ কমিটি প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নেতৃত্ব দেবেন।
জানতে চাইলে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপি সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘শনিবারের বৈঠকে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। ভারতের অপপ্রচার, নির্বাচনি রোডম্যাপসহ চলমান বিষয়গুলো থাকবে।’
গণভোটের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘সরকার কেন গণভোটের দিকে যাবে, সেটা স্পষ্ট নয়। তারা সাংবিধানিকভাবে বৈধতা পেয়ে গেছে। আমার মনে হচ্ছে না তারা গণভোটের দিকে যাবে।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন