রাষ্ট্র মেরামতের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন: ড. মোশাররফ
রাষ্ট্র মেরামতের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তারা তো কোনো দলের সদস্য না, তারা হলো নিরপেক্ষ, যেভাবে হোক আজকে তারা ক্ষমতায় এসেছে। তাদের কেউ কেউ চাচ্ছে সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্ব করতে। আমরা বলেছিলাম, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে পতিত সরকার দেশের যেসব ক্ষেত্রে ধ্বংসসাধন করে গেছে, সেগুলো মেরামত করা সম্ভব হবে না। এ সরকারের পক্ষে সম্পূর্ণ মেরামত সম্ভব না, বলে আমরা মনে করি। এই মেরামতের জন্য জনগণের সরকারের প্রয়োজন। সেজন্যই নির্বাচন প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরীর ফান টাউনে কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং আমরা এই সরকারকে সমর্থন জানিয়েছি। এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল হিসেবে। এই সরকার তাদের কিছু কাজ সম্পন্ন করে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যে পরিবেশে মানুষ তাদের অধিকার প্রয়োগ করবে। অধিকারের মধ্যে সবচেয়ে বড় অধিকার হচ্ছে ভোটের অধিকার। সেজন্য আপনারা দেখেছেন যে, যখন আমরা এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছি তখন থেকেই তারেক রহমান এবং আমরা যেখানেই বক্তব্য রাখছি, আমরা কিন্তু এই কথাটা পরিষ্কার করছি, অতি দ্রুত সংস্কার সাধন করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে।
ড. মোশাররফ আরও বলেন, আমরা এই ব্যাপারে জনসম্মুখে ঘোষণা করছি, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে ততো বাংলাদেশে নানা ষড়যন্ত্র হবে। যদি নির্বাচন বিলম্ব হয়, আমাদের দেশের মানুষ যদি নিজ হাতে ভোট দিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, তাহলে এই সরকার কিভাবে বিদায় নেবে? অর্থাৎ এই সরকারের ব্যর্থতা আসবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই না এই সরকার ব্যর্থ হোক। এই সরকারকে আমাদের মতো বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে, তারা ব্যর্থ হলে কিন্তু আমরাও ব্যর্থ হব। দেশের জনগণ ব্যর্থ হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জনতার যে গণঅভ্যুত্থান সেই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে।