ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থেকে প্রধানমন্ত্রী, সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে: তারেক রহমান

0

সমাজের প্রতিটি স্তরে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, আমরা দেশে একটা জবাবদিহির পরিবেশ তৈরি করতে চাই। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জবাবদিহি। শুধু প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিরা জবাবদিহি করবেন? না। প্রতিটা পর্যায়ে জবাবদিহি করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার যেমন জবাবদিহি করবেন, একজন প্রধানমন্ত্রীও জবাবদিহি করবেন। সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিটি পর্যায়ে জবাবদিহি করতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পলায়নকৃত স্বৈরাচার সরকারের আমলে কোনোক্ষেত্রেই জবাবদিহি ছিল না। দেশে যদি জবাবদিহি থাকতো, তাহলে ফরিদপুর থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পাচার হতো না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য খাতে এমন একটি পর্যায় সৃষ্টি করতে চাই যে, দেশের মানুষ দেশেই চিকিৎসা নিতে পারবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য শিক্ষা নিতে পারবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। একমাত্র জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা গেলে অনেক কিছুই করা সম্ভব হবে। এই জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের ঘুরে আবার পেছনে যেতে হবে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ঠিক একইভাবে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। যার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করতে পারবো।

গতকাল শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিএনপির ঘোষিত ‘৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্তকরণ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুর বিভাগীয় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা আছে বলে ঘরে বসে থাকলে সেই আস্থা ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাবে। সুতরাং, প্রথম শর্ত হচ্ছে জনগণকে আস্থায় রাখা এবং আস্থায় রাখতে হলে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের উঠতে হবে এবং চলতে হবে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছু ভুল করছে, সেই ভুল থেকে তাদের শুধরে যেতে হবে। অথবা তাদের সতর্ক করতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষে আমাদের আরও কঠোর হতে হবে। মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক দলের পুঁজি হচ্ছে জনগণের আস্থা। এই পুঁজি যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাবে।’

দেশ সংস্কারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘গত দুই-তিন মাসে দেখেছি, বিভিন্ন ব্যক্তিরা বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। তারা যে সংস্কারের কথা বলছেন, তা আমাদের এই ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে। আমরা যে মূল বিষয় বলেছি, তারা একই কথা বলছেন। বিএনপি এমন একটি সময়ে এই দফাগুলো উপস্থাপন করেছে, যখন আমরা জানতাম স্বৈরাচারের পতন হবেই। হয়তো সঠিক সময়টা জানতাম না। আমরা যে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রমাণ।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ। এর আগে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com