ঈমানি শক্তির মূল উৎস
আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী আয়াতে ইয়াহুদিদের মনোভাব তুলে ধরেছেন যে, তারা ঈমান গ্রহণকারী মুসলমানদেরকে পুনরায় কাফের হিসেবে দেখতে চায়। তাদের হীন মানসিকতার কারণে মুসলমানগণ যাতে তাদের সময় অযথা নষ্ট না করে, প্রতিবাদে মুখরিত না হয়ে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর হুকুমের অপেক্ষা করে এবং ঈমানি শক্তি অর্জনে নামাজ, জাকাতসহ অন্যান্য নেক কাজে সময় অতিবাহিত করে পরকালের জন্য সৎ কর্মে দিনাতিপাত করে। আল্লাহ বলেন-
এবং তোমরা নামাজ কায়েম (যথাযথভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত) কর এবং জাকাত আদায় কর। আর নিজেদের পরকালের জন্য তোমরা যা কিছু সৎকাজ করে আগে পাঠিয়ে দেবে, তার সবই আল্লাহর নিকট মজুত পাবে। তোমরা যা কিছু করো সবই আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১১০)
এ আয়াতে নামাজ প্রতিষ্ঠিত করা এবং জাকাত আদায় করার কথা বলা হয়েছে। কারণ নামাজ ও জাকাতই হলো ঈমানি শক্তির মূল উৎস। নামাজের জামাআতে উপস্থিতির মাধ্যমে মুসলমানদের সমন্বিত এবং সম্মিলিত শক্তির বহি প্রকাশ লাভ হয়।
তাছাড়া আল্লাহর সাথে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখার মাধ্যমও নামাজ। তাই মানুষকে সার্বিক কল্যাণ লাভ করতে হলে সর্বক্ষণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হবে। যথা সময়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
সর্বদা তাঁর মহান দরবারে আকুতি-মিনতি জানাতে হবে, তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে, তাঁর অনন্ত অসীম নিয়ামাতের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে এবং সর্বদা তাঁকে স্মরণ করতে হবে। এ জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআনের অন্যত্র বলেছেন- আমার স্মরণের জন্য নামাজ প্রতিষ্ঠা কর।
নামাজ হলো শারিরীক ইবাদাত। তাই শারিরীক ইবাদাতের পাশাপাশি আর্থিক ইবাদাতের প্রতিও জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। আর আর্থিক ইবাদাতের মধ্যে জাকাত হচ্ছে অন্যতম। এ জন্য আল্লাহ তাআলা নামাজের কথা উল্লেখের সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য জাকাতের কথাও উল্লেখ করেছেন। কারণ নামাজ এবং জাকাতের মাধ্যমেই ঈমানি শক্তি বৃদ্ধি করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।
সুতরাং ঈমানি শক্তির মূল উৎসগুলোর অন্যতম হচ্ছে নামাজ এবং জাকাত। তাই আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত আদায় করে এবং অন্যান্য ইবাদাত-বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।