‘ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ইরান-চীন সম্পর্ককে কোনোভাবেই প্রভাবিত করবে না’
রানের সর্বোচ্চ নেতা সাইয়েদ আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা আলি আকবর বেলায়াতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ইরান-চীন সম্পর্ককে কোনোভাবেই প্রভাবিত করবে না।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সংবাদ সংস্থা ইসনার (ISNA) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেলায়াতি বলেছেন, ‘ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না’।
খামেনির এই উপদেষ্টা বলেন, ‘ইরান ও চীনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী, ঘনিষ্ঠ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। যা একে অপরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে’।
সম্প্রতি তেহরানে চীনের রাষ্ট্রদূত কং পেইউর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইরান-চীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক:
চীন ইরানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং ইরানের নিষেধাজ্ঞা-বিধ্বস্ত জ্বালানি তেলের প্রধান ক্রেতা।
ইরানের জ্বালানি ও তেলমন্ত্রী মোহসেন পাকনেজাদ সম্প্রতি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নির্বাচনের পরও ইরানের তেল বিক্রিতে কোনো ‘গুরুতর উদ্বেগ’ নেই।
২০২১ সালে ইরান ও চীন ২৫ বছরের একটি কৌশলগত চুক্তি সই করে। যা দুই দেশের জ্বালানি, নিরাপত্তা, অবকাঠামো এবং যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত করে।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাব:
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি প্রয়োগ করেছিলেন। যার অংশ হিসেবে ইরানের ওপর পুরোনো ও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এতে চীনের জন্য ইরানকে তার বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সেপ্টেম্বরে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে আশ্বাস দেন যে, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, চীন ইরানকে সমর্থন করে যাবে।
সূত্র: এএফপি