ঢাকার ধামরাইয়ে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার মা

0

ঢাকার ধামরাইয়ে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণ এর শিকার হয়েছেন মা। গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের চরডাউটিয়া এলাকায়। অভিযোগ স্থানীয় ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চর-ডাওটিয়া গ্রামের মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মণ্ডলের শাশুড়ি বেড়াতে আসেন মেয়েকে দেখার জন্য। হঠাৎ সোমবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে মিজানুর রহমান মন্টুর শাশুড়ির পেট ব্যথাসহ জিনের আসর হয়। পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে উঠলে দ্রুত স্থানীয় ফকির ও একই গ্রামের দীর্ঘ জ্বালির ছেলে মোহাম্মদ ওসমান আলী ফকিরের শরণাপন্ন হন তিনি।

ওসমান আলী তার সহযোগী মোঃ রবি হোসেন, মোহাম্মদ খোকন আলী, মোহাম্মদ রজ্জব আলী, মোঃ সুজন মিয়া, ও মোহাম্মদ আরশেদ আলীসহ সাতজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই মিজানুর রহমান মন্টুর বাড়িতে যান। এরপর একটি কক্ষে মিজানুর রহমান মন্টুর স্ত্রীকে শিকলবন্দি রেখে মিজানুর রহমান মন্টুকে খাঁটি সরিষার তেল আনার জন্য তেলি বাড়িতে পাঠান ওই কবিরাজ মোহাম্মদ ওসমান আলী।

এরপর মিজানুর রহমান মন্টুর শাশুড়িকে ওই সাতজনে মিলে পাশের ক্ষেতের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর ওই নারীকে পালা ক্রমে তারা ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ওই নারীর ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ ব্যাপারে ফকির মোহাম্মদ ওসমান আলী বলেন, মিজানুর রহমান মন্টুর শাশুড়িকে আমরা ধর্ষণ করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আমরা ওই নারীর জ্বীন ছাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার আমরা সেই চিকিৎসা করেছি।

এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান বলেন, সরল বিশ্বাসে ফকিরের কথায় তেল আনতে গিয়ে আমার শাশুড়ির এত বড় সর্বনাশ হয়েছে। আমি আমাকে ক্ষমা করতে পারছি না। নিজেকে অনেক বড় অপরাধী মনে হচ্ছে। আমি ওই ভণ্ড ফকির ও তার সহযোগীদের কঠোর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com