খালেদা জিয়া খেতে পারছেন না, খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। গায়ে জ্বর ও প্রচন্ড ব্যাথা।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। এমতবস্থায় মানবিক বিবেচনায় তার মুক্তি দাবি করেছেন পরিবার। মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত শেষে তার সেজো বোন সেলিমা ইসলাম এ দাবি জানান। এর আগে সোয়া তিনটার দিকে বেগম খারেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন পরিবারের ৫ সদস্য।
সাক্ষাৎ শেষে সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া বিছানা থেকে বাথরুম দুই-তিন হাত জায়গা হবে তা যেতে ২০ মিনিট সময় লাগে। এখানে যে চিকিৎসা হচ্ছে তাতে তার শারীরিক কোনো উন্নতি হচ্ছে না। আজকেও ফাস্টিং সুগার ১৪-১৫ ছিল।
তিনি বলেন, তার শরীর খুবই খারাপ ছিল। সে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। একদম কথাই বলতে পারছেন না। সে উঠে ৫ মিনিটও দাঁড়াতে পারছেন না। বাঁ হাতটা সম্পূর্ণভাবে বেঁকে গেছে। এখন ডান হাতটা বেঁকে যাচ্ছে। খেতে পারছেন না, খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। গায়ে জ্বর ও প্রচন্ড ব্যাথা। গায়ে হাত দেয়া যাচ্ছে না। গায়ে হাত দিলেই সে চিৎকার করছে। এই অবস্থায় মানবিক দিক চিন্তা করে ওনাকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমরা জোড় দাবি জানাচ্ছি।
সেলিমা ইসলাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা খুবই প্রয়োজন। ওনার শরীর এতই খারাপ যে এই মুহূর্তে যদি ওনাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া না হয় তাহলে উনার কি হবে সেটা বলতে পারছি না। আমাদের একটা আবেদন তাকে মুক্তি দেয়া হোক। তার চিকিৎসাটুকু যেন আমরা করতে পারি এটাই আমাদের আবেদন। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় সরকারের কাছে আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। আজকে দুই বৎসর যাবৎ খালেদা জিয়া কারা অন্তরীণ আছে। যখন তিনি কারাগারে গিয়েছেন তখন তার শারীরিক যে অবস্থা ছিল এখন সে অবস্থা নেই। সে হেটে চলে বেড়াতো এখন সে পাঁচ মিনিটও দাড়াতে পারে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, তার মুক্তির জন্য আমরা এখনো আবেদন করিনি। আমরা জাতির কাছে আবেদন করছি, জনতার কাছে আবেদন করছি যে ওনার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসা পরিবারের ৫ সদস্য হলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সেজো বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারে স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক ইস্কান্দার, তারেক রহমনের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বড় বোন শাহিনা জামান খান, আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি ফাতেমা রেজা।