রাষ্ট্র সংস্কারের আলাপ শুরু করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী, এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরাচারী রাষ্ট্র সংস্কার করে জবাবদিহিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল স্পিরিট। সে লক্ষে আন্দোলনকারী শক্তি, রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটিসহ সমাজের সব অংশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের আলাপ শুরু করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর তোপখানা রোডের নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা সম্প্রতি রংপুরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত আবু সাঈদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, তার পরিবার, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রংপুর ও বগুড়ায় ওই সফর শেষে আজ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন– নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সিরাজ মিয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।
নেতারা বলেন, ‘প্রতিটি গুলির হিসাব দিতে হবে, গণহত্যার বিচার করতে হবে। যারা হত্যা করেছে তাদের দিয়ে তদন্ত করানো চলবে না।’
নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার আহ্বান জানিয়ে তার বলেন, ‘আহতদের উন্নত চিকিৎসা, নিহত-আহতদের পরিবারের আর্থিক ও প্রয়োজনানুযায়ী সহায়তা করতে হবে।’
মঞ্চের নেতারা বলেন, ‘গণহত্যা, গুম-খুন, লুটপাট, অর্থপাচার, ভোটচুরির ফ্যাসিবাদের প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার ও তার দোসরদের বিচার করতে হবে। ’
তারা বলেন, ‘যে সব ব্যবসায়ী গ্রুপ ও পরিবার ব্যাংক লুট, দুর্নীতি ও পাচার করেছে তাদের সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ও পচার করা অর্থ ফেরত আনতে হবে।’