সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন জোরদারে শিগগির নতুন কর্মসূচি: নজরুল

0

সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন জোরদারে শিগগির নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থ হানিকর চুক্তি-সমঝোতা করা হচ্ছে। সীমান্তে মানুষ হত্যা হচ্ছে, অরক্ষিত থাকছে। নানান কারণে আমরা মনে করি, এক দফা দাবিতে আমরা যে লড়াই শুরু করেছি, ওই এক দফা বাস্তবায়ন ছাড়া সংকটের সমাধান হবে না।’

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে এ বৈঠক করে বিএনপি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বার বার আমরা দেখছি যে সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে, সংকট বাড়ানো হচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। দেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে, গণতন্ত্রহীনতার সংকট। দুর্নীতি-অনাচারে দেশ ছেয়ে গেছে। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের নিযুক্ত ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা দুর্নীতি করে দেশটাকে ফোকলা করে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো শূন্য হয়ে যাচ্ছে, টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। দ্রব্যমূ্ল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।’

আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক দফার যে লড়াই, সে লড়াইকে এগিয়ে নিতে আমরা আগামী দিনে কর্মসূচি ঘোষণা করবো। ওই কর্মসূচি ঘোষণার প্রেক্ষিত হিসেবে আজ আমাদের মধ্যে এই আলোচনা হয়েছে।’

কোটা আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, ছাত্রদের দাবি ছিল কোটা সংস্কারের, বাতিল নয়। সে দাবির প্রতি বিএনপি সমর্থন জানিয়েছে। ছাত্ররা এখন এই দাবিতেই আন্দোলন করছে। আপনারা দেখেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা যখন শপথ গ্রহণ করেন তখন তাদের বলতে হয় যে, কখনো অনুরাগ বা বিরাগের মুখোমুখি হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। কিন্তু আমরা দেখলাম যে, প্রকাশ্যে ঘোষণা করেই একটা বিরাগের বশবর্তী হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন কোটাই বাতিল করে দিলাম। এটা কেউই যুক্তিসঙ্গত মনে করে না, মনে করে বিরাগের বশবর্তী হয়ে এটা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি সরকারি দলের (আওয়ামী লীগের) অনেক লোকও বলেন ওইভাবে সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। ওইভাবে করার কারণেই হাইকোর্ট সেটা আংশিকভাবে বাতিল করেছিলেন। যার বিরুদ্ধে আবার আন্দোলন শুরু হলো। এখন সবটাই বাতিল হয়ে গেছে। তো এভাবে এসব সমস্যার সমাধান হয় না। কয়েক বছর ধরে এ আন্দোলন জিইয়ে রেখে এটা অর্থহীন হয়েছে। উচিত ছিল কোটা সংস্কারের ব্যবস্থা করা এবং যুক্তিসঙ্গত সংস্কার। আমার দলের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তার বাইরে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com