ট্রফির স্বপ্নই দেখছেন মিরাজ-সাইফ

0

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল সেমিফাইনালে খেলা। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে সেমিতে উঠেছিল বাংলাদেশ যুবদল। মিরাজদের সেই সাফল্যকে ছাড়িয়ে গেছে আকবর আলীর দল। ইতিহাস গড়ে চলমান যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

আজ প্রথমবার যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নামবে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে আজ বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ক্রিকেট দুনিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়।

ফাইনালে আকবর বাহিনীর জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২০১৬ যুব বিশ্বকাপে খেলেছিলেন তারা। মিরাজ স্বপ্ন দেখছেন, অনুজরা ট্রফি নিয়েই দেশে ফিরবে।

গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে যুব দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছেন, ‘ফিনিশটা যেন ভালো হয় এটাই চাই। আমার ভালো লেগেছে যেটা হচ্ছে ওদের তিনটা বিভাগই বেশ ভালো খেলছে। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং- যেটা আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসবে। এটাই আমার প্রত্যাশা। আমাদের দেশের সবার প্রত্যাশা যে, ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমাদের স্বপ্ন দেখাবে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কখনোই শিরোপা জেতেনি। এই প্রথম বাংলাদেশ ফাইনালে খেলবে। আমার কাছে মনে হয় এটা একটা বড়ো পাওয়া, আমাদের দেশের মানুষের জন্য।’

আরো পড়ুন: বিশ্বকাপে প্রথম ট্রফির হাতছানি

ভারতের বাধা টপকাতে না পারার অতীত ইতিহাস আছে বাংলাদেশের যুবাদের। আজ ফাইনালে নির্ভার হয়ে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন মিরাজ। ফাইনালের প্রতিপক্ষ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে অনেক ক্লোজে গিয়ে আমরা বেশ কয়েকটি ম্যাচ হেরেছি। আমাদের দুর্ভাগ্য আসলে এরকম ম্যাচ। তবে কালকের (আজ) দিনটা আমাদের করতে হবে। ছেলেরা যে রকম খেলছে আশা করি, ওরাও অনেক আত্মবিশ্বাসী। সবার অনেক আশা। চাপ না, এর আগে বিশ্বকাপের যতগুলো ম্যাচই খেলেছে, যেভাবে খেলেছে, একইরকম খেললে হয়তো আমরা ভারতকে হারাতে পারব।’

ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দেশের আপামর জনতার সমর্থন থাকবে আকবর আলী, মাহমুদুল হাসান জয়দের জন্য। ট্রফির স্বাদ পেতে তর সইছে না মিরাজের। যুব দলের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ ওদের সমর্থন করবে। জাতীয় দলের যেসব ক্রিকেটার আছেন, তারা অনেক সমর্থন করবেন। ওদের সবার জন্য অনেক শুভকামনা। দোয়া করছি আল্লাহ্? যেন ওদের চ্যাম্পিয়ন করে নিয়ে আসে। এরকম একটা ফাইনাল, যেখানে আগে কখনো বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়নি, বিশ্বকাপ ইভেন্টে, ওরা যেন আমাদের সেই স্বাদ দিতে পারে।’

সাইফউদ্দিনের মতে, প্রতিপক্ষ না ভেবে স্বাভাবিক খেলাটা খেলা উচিত বাংলাদেশের যুবাদের। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘ফাইনাল ম্যাচ অবশ্যই ভিন্ন। নতুন পরিবেশ, নতুন প্রতিপক্ষ। আমার মনে হয়, প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা না করে স্বাভাবিক খেলাটা খেললেই জয় সম্ভব। আমাদের বোলাররা বলেন, ব্যাটসম্যানরা বলেন, খুব ভালো ফর্মে আছে। আমাদের ফিল্ডিং সাইডও যথেষ্ট ভালো।’ মিরাজ-সাইফউদ্দিন বেশ উদ্দীপ্ত। অনুজদের পারফরম্যান্স দেখতে মুখিয়ে আছেন তারা। টিভি পর্দায় চোখ রাখবেন তারাও। তানজিদ-রকিবুলদের হাত ধরে তৈরি হোক বিশ্ব জয়ের নতুন ইতিহাস। সেটাই মিরাজদের কামনা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com