‘সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না, সরকারকে বেশি সময় দিবো না’
সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘কথা একটাই, যদি সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠে তাহলে আমরা আঙ্গুলটা বাকা করবো। আপনাদেরকে আর সময় বেশি দেবো না এখন ও সময় আছে বলি মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়েন, ছাড়েন, ছেড়ে দেন। অনুরোধ করছি।
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,’আন্দোলনে রাজি আছেন নেতাকর্মীরা হ্যাঁ সূচক উত্তর দেন।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘৩৫ হাজার মামলায় ২৭-৩৭ লাখ আসামি। গত ২০০ বছরের মধ্যে ব্রিটিশ পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ৪৮ বছরের মধ্যে এরকম ঘটনা নাই যে গণতন্ত্রের রাষ্ট্রে ৩৫ হাজার মামলায় ২৭-৩৭ লাখ আসামি। নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা অভিযোগে জোর করে গায়ের জোরে জেলে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন,’এখানে(সমাবেশ স্থলে) ২ জন মেয়র, জনতার মেয়র আছেন সমাবেশের এই জনতা স্বীকার করে নিচ্ছে তারা হচ্ছে জনতার মেয়র।‘
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্দেশে তিনি বলেন,’শেখ হাসিনা আপনি তো বাহিরে ছিলেন। ইলেকশনের দিনে ভোট দিতে গিয়ে আপনি নৌকায় ভোট চাইলেন। আর আমার নেত্রীকে জেলখানায় রেখেছেন। এই সময়ে সমাবেশের জনগণ এই সরকারকে ভোট চোর, ভোট চোর বলে স্লোগান দেন। তখন দুদু বলন, ভোট চোর, ভোট চোর। টাকা চোর, টাকা চোর। এরা হচ্ছে (আ.লীগ) লুটেরা।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন,’ এখনও আন্দোলন দেখেন নাই। দরকার হলে কারো কাছে আমরা আবেদন নিবেদন কিছুই করবো না। জনতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজন বোধ করলে বেগম জিয়াকে নিয়ে আসবো। আমরা মওলানা ভাসানীর উত্তরসূরী, আমরা জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি, আমরা বেগম খালেদা জিয়ার উত্তরসূরী।
তিনি বলেন,’আপনারা ইশরাকের সঙ্গে পারেন না, তাবিধের সঙ্গে পারেন না। পুলিশ বলেন, সরকার বলেন, প্রশাসন বলেন বিএনপি মাঠে ছিলো না। বিএনপির সব জায়গায় ছিলো এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে ছিল চোর- ডাকাতরা। এখন এখান থেকে প্রতিজ্ঞা করে যাবো বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না করে ঘরে ফিরবো না।
এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় দুপুর সোয়া ২ টায়। ওলামা দলের সদস্য সচিব হাফেজ মাওলানা নজরুল ইসলামের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও বেলা ১১টা থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী,ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মে. শাজাহান,আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, আব্দুস সালাম,আবুল খায়ের ভূইয়া,যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন সহ-অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।