লালমনিরহাটে ভোটারশূন্য কেন্দ্রে হুইল চেয়ারে এসে ভোট দিলেন মোহাম্মদ আলী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে লালমনিরহাটের আদিতমারী ও কালীগঞ্জের দুই উপজেলায় কয়েকটি কেন্দ্র ভোটারশূন্য দেখা গেছে। কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের চাপ না থাকলেও দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এই ভোটারশূন্য কেন্দ্রেই হুইল চেয়ারে এসে ভোট প্রদান করেন এক ভোটার। বিষয়টি সবার নজর কাড়ে সবার।
হুইল চেয়ারে বসে ভোটকেন্দ্রে আসা প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি অসুস্থ অবস্থায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। ভোট দিতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি। আমি ভোট দিতে পেরেছি এটি আমার কাছে বড় বিষয়।
এদিকে মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১০টায় কালীগঞ্জের হাজারানীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও শ্রুতিধর জামির বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি ভোটারশূন্য দেখা যায়।
শ্রুতিধর জামির বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবু সুফিয়ান বলেন, ২ ঘণ্টায় সাতটি বুথে প্রায় ১০০টির মতো ভোট পড়েছে। সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে কেন্দ্রে ভোটারের চাপ নেই।
আপরদিকে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কেন্দ্রের বাইরে দায়িত্বে রয়েছেন। ভোটারদের জন্য অপেক্ষায় আছেন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং এজেন্টরা। কিন্তু যাদের জন্য এতো আয়োজন সেই ভোটারদের দেখা নেই।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও তার ছোট ভাই বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।