চিকিৎসার জন্য আসা স্কুলছাত্রীকে ক্লিনিকের ভিতরে ধর্ষণ চেষ্টা

0

স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়া সহপাঠীকে চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে নেয়ার পর ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে অপর এক স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ডমুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। এ ঘটনায় ক্লিনিকে কর্মরত অভিযুক্ত হেলথ প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) লুৎফুর রহমানের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মঙ্গলবার ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ডমুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় তার এক সহপাঠী অসুস্থ ওই ছাত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী ডমুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে যায়। ক্লিনিকের সিএইচসিপি লুৎফুর রহমান অসুস্থ ছাত্রীকে দেখে কিছু ওষুধ ও ব্যবস্থাপত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলেন। আর তার সাথে আসা ছাত্রীকে (অসুস্থ্য স্কুলছাত্রীর সহপাঠী) কথা আছে বলে কৌশলে ক্লিনিকে থাকতে বলেন।
একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ক্লিনিকের মধ্যেই ধর্ষণের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত লুৎফুর রহমান। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী ডাক-চিৎকার শুরু করলে অসুস্থ ছাত্রীও চিৎকার করতে থাকে। খবর পেয়ে ছাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা ক্লিনিক ঘেরাও করে এবং অভিযুক্ত হেলথ প্রোভাইডার লুৎফুর রহমানকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে আটকে রাখে।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা জানান, স্থানীয় পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এনামুল হক আমাকে ডমুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে ওই ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা ও হেলথ প্রোভাইডারকে আটক করে রাখার বিষয়টি জানান। তিনি পরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

জানতে চাইলে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ঘটনাটি জানার পরই একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একজন চিকিৎসা কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com