সরকার দলীয় লোকজন পার পেয়ে যায়, দুদকই সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ: ফয়জুল করীম

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, সরকার দলীয় লোকজন বড় বড় অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়। অপরদিকে অনেক আলেম-ওলামা এবং নিরীহ নিরাপরাধ মানুষ অপরাধ না করেও বছরের পর বছর কারাগারে অন্তরীণ থাকে, সহ্য করা যায় না। মানুষ ভাত ও ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। দলের লোক হলে সব সুবিধা তাদের জন্য। দল না করলে, তাদের কোনো অধিকারই নাই।

তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম, মানবতার ধর্ম। দলমত নির্বিশেষে সকলের কল্যাণে ইসলাম নিবেদিত। আজকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজ হলো দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে কাজ করা। কিন্তু দুদকই সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ। দুদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বড় মামলা হয়, দেশ কিভাবে দুর্নীতিমুক্ত হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে যারা নিয়োজিত তারাই মাদক পাচার, মাদক সেবন, সরবরাহে জড়িত।

সোমবার বিকেলে লক্ষীপুর সোনারবাংলা রেস্টুরেন্টে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষীপুর জেলা শাখা আয়োজিত নবীন আলেম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে প্রধান বক্ত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী। সংগঠনের জেলা সভাপতি মো. রেদওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের জেলা সহসভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিনসহ জেলা ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলনসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর বলেন, মন্দিরে আগুন দেয়ার ঘটনা সমর্থন যোগ্য নয়। মন্দিরে আগুনের বিচার আমরাও চাই। কিন্তু যারা নিরীহ নিরাপরাধ দুই সহোদরসহ তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে সারা দেশে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠবে।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, দেশে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হলে সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। সব দল-মতের মানুষ ধর্মীয় অধিকার ফিরে পাবে। ক্ষুধা, দরিদ্রতা থাকবে না। কেউ খেয়ে, কেউ না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে না। কেউ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে বিদেশে সেকেন্ড হোম বানাতে পারবে না। ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে, কেউ অতি আয়েশী জীবন যাপন করবে, আর কেউ না খেয়ে বস্তিতে-ঝুঁপড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে না।

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর বলেন, চলমান আইনে কেউ বড়ধরনের অপরাধ করে পার পেয়ে যায়, আবার কেউ অপরাধ না করেও বছরের পর বছর কারাবরণ করে। রাষ্ট্র নাগরিক অধিখার কেড়ে নেয়। ইসলামের অনুশাসন মেনে চললে এবং দেশের সম্পদের সুসম বণ্টন হলে, দেশে কোনো অভাব থাকবে না। দেশের একজন আমলা হাজার হাজার কোটির টাকার মালিক হয় কিভাবে?

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com