সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করে বিপাকে
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ১০ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাসির আবদুল্লাহ। গতকাল টিএসসি এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে। মাঘের শীত উপেক্ষা করেই সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। গতকাল সোমবার পর্যন্ত
টানা দশম দিনের মতো অবস্থান করা ওই ছাত্র পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ওই ছাত্রের নাম নাসির আবদুল্লাহ। তিনি মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র এবং গণসংহতি আন্দোলনের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী।
নাসিরের দাবি দুটি। একটি, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যার সব ঘটনার বিচার এবং অপরটি সীমান্ত সমস্যার সমাধান।
এই দুই দাবিতে গত ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন নাসির। সেদিন রাত থেকে গতকাল সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টানা দশম দিনের মতো তিনি অবস্থানে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে অনেকেই সংহতি জানিয়েছেন। সংহতি জানানো শিক্ষার্থীরা মিলে অবস্থানস্থলে বাঁশ ও কাপড় দিয়ে তাঁর জন্য ছোট একটি প্যান্ডেল করে দিয়েছেন।
অবস্থান কর্মসূচি করতে গিয়ে দৃশ্যত কোনো বাধার শিকার হননি নাসির। তবে গতকাল তিনি অভিযোগ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন। এতে তিনি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। পরিবার থেকে তাঁকে নানা কথা বলা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর মা অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় এসেছেন।
গত রোববার রাজু ভাস্কর্য থেকে কয়েক শ গজের মধ্যে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরে শুরু হয়েছে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’। এ মেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রতিদিনই হাজারো ক্রেতা–দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে। নাসির বলছেন, গ্রন্থমেলায় আসা এসব মানুষকে সীমান্ত হত্যার ব্যাপারে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে এবং সরকারের পক্ষ থেকে দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য না আসা পর্যন্ত তাঁর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।