লাইলাতুল কদর বা শবে কদরে গোসল করা মুস্তাহাব মনে করার কোনো ভিত্তি নেই

0

লাইলাতুল কদর বা শবে কদরে গোসল করা মুস্তাহাব মনে করার কোনো ভিত্তি নেই। শবে কদর গোসলের বিশেষ কোনো ফজিলতও নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত হয়নি। এ রাতে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বা তার কোনো সাহাবি গোসল করেছেন এ রকম কোনো বর্ণনাও পাওয়া যায় না। তাই এ রাতে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করে গোসল করলে তা বিদআত গণ্য হবে।

লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। এ রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। কোরআনে ওই রাতের বর্ণনা এসেছে সুরা কাদরে। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আমি এটি নাজিল করেছি ‘লাইলাতুল কদরে।’ তোমাকে কিসে জানাবে ‘লাইলাতুল কদর’ কী? ‘লাইলাতুল কদর’ হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত। (সুরা কাদর: ১-৫)

লাইলাতুল কদর বা কদরের রাতে ইবাদত করলে হাজার মাস ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যায়। রমজানের কোন রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’ তা সুনির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়নি। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ রমজানের দিবসপূর্ব রাতগুলোর কোনো একটি রাত লাইলাতুল কদর।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com