‘সংসদ না ভেঙে আরেকটি সংসদের নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য’
বাংলাদেশের চলমান সরকার-বিরোধী আন্দোলন সফল করতে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। বর্তমান আন্দোলন শুধুমাত্র বিএনপি কেন্দ্রিক। আন্দোলন সফল করতে সরকার বিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
বুধবার বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ আয়োজিত আসন্ন নির্বাচন ও ভবিষ্যতের ‘পথরেখা’ শীর্ষক ওয়েভিনারে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তারা।
বিডস আয়োজিত ওয়েভিনারে প্যানালিষ্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. বদিউল আলম মজুমদার, ইলিনয় ষ্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ, ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের পরামর্শক জ্যোতি রহমান।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আওতায় সরকার নির্বাচন আয়োজন করছে, এটি অবৈধ। এছাড়া সংসদ না ভেঙে আরেকটি সংসদের নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য।
তিনি মনে করেন, এখনো সময় আছে সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার।
ড. আলী রীয়াজ বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশী হস্তক্ষেপের বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শুরুতেই নির্বাচনে আমরা বিদেশী হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করি। রাশিয়া, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কম-বেশি সব নির্বাচনে দেখা গেছে। তবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করার মতো। এটি সরকারের মন্ত্রীদের বিভিন্ন বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি মনে করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পর অর্থনৈতিক স্বার্থে সরকারকে চীনমুখী হতে হবে। তবে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠাতব্য নির্বাচনই শেষ কথা নয়।
ড. আলী রীয়াজ আরো মনে করেন, জনবিক্ষোভের মাধ্যমেই সরকারের বিদায় হবে।
তিনি মনে করেন, এজন্য দেশের ডান-বাম, মধ্যপন্থী সকল দলকে একই প্লাটফর্মে এসে আন্দোলন করতে হবে। আর এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
অর্থনীতিবিদ জ্যোতি রহমান মনে করেন, একতরফা নির্বাচনের পর দেশ চরম মাত্রায় অর্থনৈতিক সঙ্কটে নিপতিত হবে।
তিনি মনে করেন, যা গণবিস্ফোরণে রূপ নেবার আশঙ্কা রয়েছে।