হরতাল কোনো বিধ্বংসী অথবা জঙ্গি কর্মসূচি নয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্যায়, অবিচার, জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পরিমাণ এত বেশি হয়ে গেছে যে এখন আমাদের তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে হবে। সেই আন্দোলনেরই একটা ধাপ হচ্ছে হরতাল।
রোববার সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সামনে হরতাল সমর্থনে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলে, ইভিএম ভোট ডাকাতির একটা যন্ত্র। ইভিএম, ভোট ডাকাতিসহ সবকিছু মিলিয়ে যেভাবে নির্বাচন ছিনতাই করেছে, তার বিরুদ্ধেই এই হরতাল।
তিনি বলেন, সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে। তারা যদি মনে করে এভাবেই দেশ চলবে, সেটা কোনো দিন চলতে পারে না। ন্যায়ের জয় হবে, ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। সরকারের চলে যাওয়াটা কেমন হবে সেটাই দেখার বিষয়।
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম সচিব বলেন, আগেও আমি বলেছি অন্যায় করে, বেআইনি কাজ করে, মানুষের ওপর জুলুম করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। এরা টিকে থাকতে পারবে না।
জাতীয় নির্বাচনের পরে হরতাল দেননি, এখন কেন দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, কারণ একটাই মানুষের কাছে সরকার হরতাল সম্পর্কে নানাভাবে বিকৃত তথ্য দিয়েছে। এখন হরতাল দিয়েছি এজন্য যে মানুষের কাছে এটাই প্রমাণ করা যে হরতাল কোনো বিধ্বংসী অথবা জঙ্গি কর্মসূচি নয়।
হরতাল কেমন চলছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, চার দিকে গাড়িঘোরা চলছে না। দোকানপাট বন্ধ আছে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে। জনগণ আমাদের ডাকা হরতালে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। এটাই আমাদের পাওয়া।
এ সময় রিজভীর সঙ্গে ছিলেন দলটির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, নিপুণ রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী। তারা হরতালের পক্ষে নানা রকম স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এ সময় নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনের সড়কে অন্যদিনের তুলনায় কমসংখ্যক গাড়ি চলতে দেখা যায়। এ ছাড়া সকাল থেকে বিএনপি অফিসের সামনে সারিবদ্ধভাবে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।