খুলনায় পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
অবশেষে খুলনা রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিয়ে ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ নির্দেশ প্রদান করেন। এর আগে গত ২২ জুলাই ভুক্তভোগী ওই নারী আদালতে গণধর্ষণের এ অভিযোগ দাখিল করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।জানা যায়, গত ২ আগস্ট রাতে রেলওয়ে পুলিশ ফুলতলা থেকে ওই নারীকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে ওসি উসমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ ও মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরের দিন ফেনসিডিলসহ মাদক মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে জামিন শুনানিকালে পুলিশের গণধর্ষণের বিষয়টি জানালে আদালতের নির্দেশে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
এরপর ১০ আগস্ট আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে রেলওয়ে থানায় মামলা করেন ওই নারী। মামলা নং-০৩। এ ঘটনার পর ওসি উসমান গনি পাঠান ও এএসআই নাজমুল হককে বরখাস্ত করা হয়। পরে পুলিশের দেওয়া মাদক মামলায় গত ২৮ আগস্ট ওই নারী জামিনে মুক্ত হন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, আদালত বাদির আরজি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন। একই সাথে বাদির জবানবন্দি গ্রহণ ও পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম