জরুরি অবস্থার কারণ জানালেন এরদোগান
দুই প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া ও তুরস্কে গত সোমবার ভোরে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। গত এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ২১ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন। হাজার হাজার ভবন ও অবকাঠামো ধসে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তুরস্কে। দেশটির ১০ প্রদেশ তছনছ হয়েছে ভূমিকম্পে।
ভূমিকম্পপরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটিতে প্রথমে এক সপ্তাহের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। পরে তা বাড়িয়ে তিন মাস করা হয়। বৃহস্পতিবার দিনশেষে এ জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
ইয়েনি শাফাকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন— তিন মাসের জরুরি অবস্থা চলমান অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানকে ত্বরান্বিত করবে। সেই সঙ্গে ত্রাণ তৎপরতাকেও গতিশীল করবে এই উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার এরদোগান বলেন, আজ পার্লামেন্টে যে ভোটাভুটি হয়েছে, তার আলোকে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা কার্যকর হচ্ছে। এ সময় তিনি দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজিয়ানটেপ প্রদেশ পরিদর্শন করছিলেন। এই সিরীয় সীমান্তে অবস্থিত এই প্রদেশেই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়।
এর আগে মঙ্গলবার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে তিন মাসের জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের পর থেকেই রাষ্ট্রের সব সামর্থ্য ও সুযোগ অর্থাৎ সব কিছু নিয়ে মাঠে নেমেছে সরকার।’