১ মাস ১৪ দিনে মানবধিকার লঙ্ঘনের ১৯০টি অভিযোগ
নবগঠিত ষষ্ঠ মানবাধিকার কমিশন ১ মাস ১৪ দিনে মানবধিকার লঙ্ঘনের ১৯০টি অভিযোগ পেয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মানবধিকার সুরক্ষায় গণমানুষের প্রত্যাশা: গণমাধ্যম ও জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সমন্বিত প্রয়াস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন কমিশনের ১ মাস ১৪ দিনের কার্যক্রম জানিয়ে সভায় বলা হয়, কমিশন ১৯০টি অভিযোগ পেয়েছে। এক জেলায় গণশুনানি, দুই জেলার কারাগার পরিদর্শন, দুই জেলার হাসপাতাল পরিদর্শন করা ছাড়াও পাঁচ জেলায় মানবধিকার প্রতিরোধ ও সুরক্ষামূলক কাজ করেছে কমিশন। এ সময়েই কমিশন গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে ৩৪টি সুয়োমোটো (স্বপ্রণোদিত) পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
নতুন কমিশনের কার্যক্রম উল্লেখ করে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনের আলোকে স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত করতে পারে। এ প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে আমলে নেয় ও পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি ‘ডায়ালাইসিসের খরচ জোগানো একমাত্র ছেলেটি কারাগারে, দিশেহারা মা’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের আলোকে কমিশন ভুক্তভোগী ছেলেটিকে আইনি সহায়তা দিয়ে জামিনে মুক্ত করেছে এবং তার মামলায় তাকে আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ডায়ালাইসিসের মতো চিকিৎসা সহায়তার গুরুত্ব বিচারে এর মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে যথাযথ সরকারি দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর মূল্যবৃদ্ধি স্থগিত করা হয়। গাজীপুরে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়ানোর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন।
তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত রাঙ্গুনিয়ার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, বিএসএমএমইউ’তে ভালো কিডনি অপসারণে রোগীর মৃত্যুসহ এ ধরনের অনেক ঘটনা কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে আমলে নিয়েছে এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি নিশ্চিত করেছে।’
সভায় অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, জাতী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ছাড়াও গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা উপস্থিত আছেন।