আবারও পুতিন-এরদোয়ানের ফোনালাপ
রাশিয়া-বেলারুশ যৌথ সামরিক মহড়া চলার মধ্যেই সোমবার (১৬ জানুয়ারি) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেসময় তারা ইউক্রেনে আহত বন্দিদের বিনিময়, তুরস্কে একটি গ্যাস হাব নির্মাণ ও কৃষ্ণ সাগর দিয়ে দেশের শস্য রপ্তানির বিষয়ে কথা বলেন।
রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন জানায়, যুদ্ধ চলাকালে বিভিন্ন বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার মতবিনিময় অব্যাহত ছিল। গত সপ্তাহেও তুরস্কে উভয় দেশের মানবাধিকার কমিশনারদের মধ্যে আলোচনা হয়। সেখানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এরদোয়ান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাশিয়া ব্ল্যাক সি গ্রেইন করিডোরের মাধ্যমে খাদ্যপণ্য রপ্তানি শুরু করতে পারে বলে জানানো হয়।
ক্রেমলিন জানায় সোমবারের আলোচনায়, কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি ও রাশিয়া থেকে সার, খাদ্য রপ্তানি নিশ্চিতের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া এরদোয়ান ও পুতিন জ্বালানি নিয়েও কথা বলেছেন।
প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে ও একটি গ্যাস হাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জ্বালানিখাতে সক্ষমতা বাড়ানো ক্ষেত্রে তুরস্ককে সহযোগিতা করতে চায় রাশিয়া। এছাড়া, ফোনালাপে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট তুর্কি-সিরীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন।
ফোনালাপে পুতিন বলেন, পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থনে কিয়েভ আরও বেশি উগ্র আচরণ করছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের মজুত বাড়াতে সাহায্য করছে।
এদিকে সার ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে পশ্চিমাদের কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। তবে মস্কোর দাবি, শস্যচুক্তির কিছু অংশ এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর একাধিবার ফোনালাপ করেছেন পুতিন ও এরদোয়ান। সর্বশেষ ৪ জানুয়ারি ফোনালাপে বসেন তারা। কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার খাদ্যশস্য রপ্তানি নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে মিলিত হয়ে মধ্যস্থতাকারীর কাজ করেছে তুরস্ক।
সূত্র: রয়টার্স