ভারতের দিল্লিতে তরুণীর দেহ ১২ কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নেওয়া গাড়ির মালিক গ্রেফতার
ভারতের দিল্লিতে এক তরুণীকে গাড়ির নিচে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় এবার আশুতোষ নামের গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
দিল্লির কানঝাওয়ালা এলাকার এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করলো দিল্লি পুলিশ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত গ্রেফতার ওই পাঁচজন হলেন- দীপক খান্না (২৬), অমিত খান্না (২৫), কৃষন (২৬), মিঠুন (২৫) ও মনোজ মিত্তাল।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) সাগরপ্রীত হুডা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অঙ্কুশ নামের আরও এক অভিযুক্ত এখনো অধরা। তিনিও গ্রেফতার ছয়জনের বন্ধু। তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এর আগে গ্রেফতার পাঁচজনকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের প্রত্যেককে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ইংরেজি নতুন বছর শুরুর রাতে অঞ্জলি সিংহ নামের ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী সুলতানপুরী এলাকায় স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় একটি গাড়ি স্কুটিতে ধাক্কা দিলে অঞ্জলি গাড়ির নিচে আটকে যান। এ অবস্থায় গাড়িটি তাকে টেনেহিঁচড়ে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পথ নিয়ে যায়। পরে দিল্লির খানজাওয়ালা এলাকায় গিয়ে থাকে ওই গাড়ি। পরে গাড়ির চাকায় আটকে থাকা অঞ্জলির মরদেহ সেখানে রেখে গাড়ির চালকসহ অন্যরা পালিয়ে যান।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই গাড়ির চালক-আরোহী সবাই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তারা নাকি বুঝতেই পারেননি গাড়ির তলায় কিছু আটকে রয়েছে।
এরপর মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, অঞ্জলির শরীর ধুলোমাটি মাখা ছিল। শরীরে পোড়া দাগ ছিল। এ ধরনের পোড়া দাগকে ‘ব্রাশ বার্ন’ বলা হয়। গাড়িটি দীর্ঘ পথ চলার সময় রাস্তার সঙ্গে অঞ্জলির শরীরের চামড়ায় ঘর্ষণে এই পোড়া দাগ তৈরি হয়। পুরো শরীরে ৪০টির মতো ক্ষত পাওয়া যায়। তবে তাকে কোনো যৌন হেনস্থা করা হয়নি।
অঞ্জলি সিংহ দিল্লির একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করতেন। অঞ্জলি সিংয়ের পরিবার অভিযোগ, মৃত্যুর আগে অঞ্জলিকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
বছরের প্রথম দিনই এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের কঠোরতম সাজার দাবিতে এরইমধ্যে দিল্লিতে বিক্ষোভ করেছেন বহু মানুষ।
ঘটনার পরপরই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।সূত্র: জাগো নিউজ