আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি মন্ত্রীর প্রবেশ অগ্রহণযোগ্য: যুক্তরাষ্ট্র

0

আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ইসরাইলের উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন গ্যাভিরের প্রবেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, মঙ্গলবার মসজিদ প্রাঙ্গণে তার প্রবেশের ঘটনায় ওয়াশিংটন ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। এ খবর জানিয়েছে এএফপি, আলজাজিরা ও আনাদোলু এজেন্সি।

সংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। তিনি বলেন, ‘উত্তেজনার পারদ বাড়াতে পারে এমন যেকোনো একতরফা পদক্ষেপের ব্যাপারে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক স্থিতাবস্থাকে বিনষ্ট করে এমন যেকোনো ‘একতরফা পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য’। তিনি বলেন, আমরা উত্তেজনার প্রশমন দেখতে চাই। নেড প্রাইস বলেন, জেরুসালেমের পবিত্র স্থাপনাগুলোর ঐতিহাসিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো অবস্থান অব্যাহত রয়েছে।

তা ছাড়া হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্য-পিয়েরে বলেন, ‘জেরুসালেমের পবিত্র স্থানগুলোতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। (আল-আকসা মসজিদে) স্থিতাবস্থাকে বিপন্ন করে এমন কোনো একতরফা পদক্ষেপ ও কাজ গ্রহণযোগ্য নয়।’

মূলত ইতামার বেন গ্যাভিরের ব্যাপক উসকানিমূলক বক্তব্যের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারেও তাকে নিরাপত্তামন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়েছে। ইতামার বেন গ্যাভিরের আল-আকসা চত্বর পরিদর্শনের নিন্দা করেছে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিরা মনে করছে পবিত্র এই স্থানে ইসরাইলি মন্ত্রীর এই সফর ‘নজিরবিহীন উসকানি’।

আল-আকসা মসজিদ এখন শুধু মুসলিমদের প্রার্থনাস্থল এবং সেখানে শুধু নামাজিদেরই প্রবেশাধিকার আছে। তবে বেন গ্যাভির অনেক দিন ধরেই ইহুদিদের সেখানে প্রার্থনার অনুমতি দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন। আল-আকসা চত্বরের ওপর দাবি নিয়ে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তিক্ততা ও বিভেদ অনেক দিনের। গত নভেম্বরের নির্বাচনের পর নতুন জাতীয়তাবাদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর উত্তেজনা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে নতুন সরকার পাঁচ দিন আগে শপথ গ্রহণ করে এবং নতুন সরকারের মন্ত্রী পদ পাওয়ার পর এটাই ছিল বেন গ্যাভিরের প্রথম সরকারি কর্মতৎপরতা।
জাতিসঙ্ঘে বৈঠক আহ্বান আমিরাত ও চীনের : ইসরাইলের উগ্র ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গ্যাভির আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের ঘটনায় জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করেছে চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

তুরস্ক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্দান, মিসরের মতো দেশগুলোও এ ঘটনার নিন্দায় শামিল হয়েছে। ইসরাইলি মন্ত্রীর কর্মকাণ্ডকে সঙ্ঘাতের উসকানি হিসেবে অভিহিত করেছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। গাজা উপত্যকার শাসক গোষ্ঠী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, এ ঘটনা রেড লাইন অতিক্রমের সমতুল্য।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com