আমরা ভারতের চাকর নাকি?
আগামী এশিয়া কাপ নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে রীতিমত যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। যার ফলে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান রমিজ রাজাকে। পরিবর্তে দায়িত্ব নিয়েছেন নাজম শেঠি।
তবে দায়িত্বচ্যুত হলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিরুদ্ধে নিজের লড়াই এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন রমিজ রাজা। পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় রমিজ রাজা মন্তব্য করেন, আমরা ভারতের চাকর নাকি যে তাদের চাহিদামত আমাদের চলতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে?
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চায় চায়, এশিয়া কাপ পাকিস্তানের বদলে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সরিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নেয়ার ঘোরতর বিরোধী পিসিবি। অথচ, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানে গিয়ে এশিয়া কাপে খেলবে না ভারত। জয় শাহের এই মন্তব্যের পরই বিবাদের সূত্রপাত।
এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে রমিজ রাজাকে। তার জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন নাজম শেঠি। তবে সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান আবারও ভারতকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
রমিজের স্পষ্ট প্রশ্ন, পাকিস্তান বা পিসিবি ভারতের চাকর নাকি! পাশাপাশি পাকিস্তান এবং তাদের সমর্থকদের সম্মান দেওয়ার কথা বলেছেন রামিজ। এশিয়া কাপ বিবাদ নিয়েই এমন মন্তব্য করেছেন রমিজ রাজা।
এশিয়া কাপ বিবাদ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এক পাক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা কি সবাই ভারতের চাকর নাকি! তারা নিজেদেরকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা শক্তিশালী বলে মনে করে। আমরা কি ওদের সব কিছু মেনে চলব নাকি?’
তিনি আরও বলেছেন, ‘নেতৃত্বটা কী? কী এর সংজ্ঞা। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল যখন পাকিস্তানকে এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে, তখন বিষয়টা তাদেরকে দেখতে হবে। ভারত খেলতে আসতে চাইছে না, বা তারা খেলবে না বলে ভেন্যু বদলের এই তোড়জোড় সত্যি মেনে নেওয়া যায় না। তারা খেলতে আসবে না বলেই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সরিয়ে নেয়াটা একেবারেই ঠিক নয়। এটা কোন সমাধান হতে পারে না।’
তিনি নিজের সময়কালের সাফল্যের খতিয়ান দিতে গিয়ে আবার বলেন, ‘আমার সময়কালের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হল, আমি সব বিষয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আপনাদের যদি মনে থাকে, তা হলে দেখবেন, নিউজিল্যান্ড আমাদের এখানে সফরে এসেও না খেলে চলে গিয়েছিল। তারা যেটা করেছিল, তা একেবারেই অনুচিত ছিল। সেই সময়ে ইংল্যান্ডও পাকিস্তান সফরে আসতে চায়নি। তার পরেই আমি কথা বলে, এই দুটি সফরের আয়োজন কিন্তু করেছি।’