ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনকে যা বললেন শি জিনপিং

0

ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তি আলোচনার পথ সহজ হবে না বলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই ইস্যুতে চীন নিজের উদ্দেশ্য ও নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবে। শুক্রবার দুই নেতার ভার্চুয়াল আলোচনায় পুতিনকে এসব কথা বলেন চীনা প্রেসিডেন্ট। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মস্কো ও বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও সহযোগিতা থাকা উচিত। ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় যুক্ত হতে রাশিয়ার আগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

চীনা সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি শি জিনপিংকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, সংঘাত কূটনৈতিক আলোচনায় সমাধানে রুশ পক্ষ কখনও অস্বীকারে করেনি বলে রাশিয়া যে দাবি করেছে তা চীনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এজন্য প্রশংসা করা হয়েছে।

গত কয়েক বছরে শি ও পুতিন অনেক ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্রদের প্রতি উভয় দেশের অবিশ্বাসের জায়গা থেকে চীন-রাশিয়া ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দুই নেতা ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাদের কৌশলগত সম্পর্কের কোনও সীমা থাকবে না। তা পশ্চিমা বিশ্বে উদ্বেগের জন্ম দেয়।

ওই মাসেই ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। আক্রমণের পর থেকে চীন প্রকাশ্যে জোর দিয়ে বলে আসছিল, এটি কোনও সংঘাত সমাধানের পথ নয়। সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশবাহিনীর বেশ কয়েকটি ব্যর্থতার পর পুতিন প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, যুদ্ধ নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের প্রশ্ন ও উদ্বেগ রয়েছে।

শুক্রবার রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত মন্তব্যে পুতিন বলেছেন, চীনের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা শক্তিশালী করা তার লক্ষ্য। তবে চীনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে সামরিক সহযোগিতার কোনও উল্লেখ ছিল না।

কোনও সীমা না থাকা সম্পর্কের জায়গা থেকে বর্তমান অবস্থায় সুবিধা পাচ্ছে বেইজিং, অন্তত প্রকাশ্যে। রাশিয়াকে যুদ্ধে সহযোগিতা না করে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পারছে তারা।

অবশ্য, শুক্রবার চীনা প্রেসিডেন্টে স্পষ্ট করেছেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের আধিপত্যবাদী নীতির বিরোধিতায় মস্কো ও বেইজিংয়ের অবস্থান একই রয়েছে।

পুতিনকে শি জিনপিং বলেছেন, সত্য বারবার প্রমাণ করেছে নিয়ন্ত্রণ ও দমন কখনও জনসমর্থন পায় না। নিষেধাজ্ঞা ও হস্তক্ষেপ ব্যর্থ হতে বাধ্য।

তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন। আধিপত্যবাদী ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করে বিশ্বের সব প্রগতিশীল শক্তি। চীন-রাশিয়া নিজেদের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, উন্নয়ন স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত আমরা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com