জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা থেকে চতুর্থ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার সর্বশেষ নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন ও বিতর্কিত ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগ করেছেন পুনর্গঠনমন্ত্রী কেনিয়া আকিবা। এর ফলে দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত মন্ত্রিসভা থেকে মাত্র দুই মাসের মধ্যে এই চারজন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
আকিবার পদত্যাগের বিষয়ে কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছেন, নিয়োগ দাতা হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব খুব গুরত্বের সঙ্গে নেই। আমার রাজনৈতিক কর্তব্য পালনের মাধ্যমে আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করতে পারব।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, আকিবাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন কিশিদা। যাতে করে পার্লামেন্টে আসন্ন বাজেট বিল নিয়ে বিতর্কে প্রভাব না পড়ে। এই বিলে প্রতিরক্ষা ব্যয় নাটকীয় পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
রাজনৈতিক ও নির্বাচনি তহবিল নিয়ে দুর্নীতি এবং বিতর্কিত ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আকিবা।
জুলাই মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে আততায়ীর হাতে নিহতের পর থেকে কিশিদার প্রতি জনসমর্থন কমতে শুরু করে। ওই সময় ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)-এর নেতাদের সঙ্গে ইউনিফিকেশন চার্চ নামের ধর্মীয় গোষ্ঠীর পুরনো ও গভীর সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে।
ধর্মীয় গোষ্ঠীটির সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ২৪ অক্টোবর পদত্যাগ করেন অর্থনীতি পুনরুদ্ধার মন্ত্রী দাইশিরো ইয়ামাগিয়া। তখন পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং তার পদত্যাগে বিলম্বের জন্য কিশিদা সমালোচনায় পড়েছিলেন। সেই সমালোচনা আরও তীব্র হয় যখন আইনমন্ত্রী ইয়াসুহিরো হানাশি নভেম্বরের মাঝামাঝিতে পদত্যাগ করেন। হানাশি ও তেরাদার পদত্যাগ জাপানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য বড় আঘাত কারণ তারা এলডিপিতে তার বলয়ের সদস্য বলে পরিচিত ছিলেন।
নভেম্বরের শেষ দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিনোরু তেরাদা পদত্যাগ করেন। তহবিল কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্কের মুখে ওই সময় তৃতীয় মন্ত্রী হিসেবে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.