সংকট সত্ত্বেও ফুলেফেঁপে উঠেছে যাদের সম্পত্তি
ফোর্বসের প্রতিবেদন
বিশ্বের ধনকুবের বা বিলিয়নিয়ারদের জন্য ভালো যায়নি ২০২২। ধনকুবেররা এই বছর সম্মিলিতভাবে হারিয়েছেন প্রায় দুই লাখ কোটি ডলার। শেয়ারবাজের উত্থান-পতন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক ধীর গতির কারণে এমন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।
কিন্তু বিলিয়নিয়ারদের এমন অবস্থার মধ্যেও পাঁচজন ভালো আয় করেছেন। তারা সবাই এশিয়ার। চলতি বছরের জানুয়ারির চেয়ে তাদের সম্পত্তি বেড়েছে ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এই পাঁচজনের মোট সম্পত্তি ২০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
পাঁচজনের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন ভারতের গৌতাম আদানি। তিনি আদানি গ্রুপের কর্ণধার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গৌতাম আদানি ৯০ দশমিক এক বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ও বিশ্বের মধ্যে ১০তম স্থানে উঠে আসেন। কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তিনি বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনীর তালিকায় স্থান পান। পাঁচজনের মধ্যে ভারত থেকে আরও একজন রয়েছেন, অন্য একজন ইন্দোনেশিয়ার, বাকি দুইজন চীনের।
এবছর পরিস্থিতিতে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। কারণ গত বছর যে পাঁচজন ব্যবসায় ভালো করেছিলেন তাদের মধ্যে চারজনই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের।
বর্তমানে গৌতাম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে তার সম্পত্তিতে যোগ হয়েছে ৫৫ দশমিক এক বিলিয়ন ডলার।
এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার কয়লা ব্যবসায়ী লো টাক কোয়াং। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে ২০২২ সালেই যোগ হয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন চীনের কলিন ঝেং হুয়াং। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এ বছর যোগ হয়েছে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। ই-কর্মাসের ব্যবসা রয়েছে তার।
চতুর্থ অবস্থানে যিনি রয়েছেন তিনিও চীনের। এ বছর তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে ২০২২ সালে।
পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ভারতের রবি জয়পুরিয়া। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে এবছর।