কিছু উচ্ছিষ্ট দল ব্যতীত সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি বিএনপিসহ দেশের আপামর জনসাধারণের: গয়েশ্বর
কিছু উচ্ছিষ্ট দল ব্যতীত সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি বিএনপিসহ দেশের আপামর জনসাধারণের জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোতে আগে অনুমতি দিলেও ঢাকাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ১১ দিন আগে ২৬টি শর্ত যুক্ত করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয় যদিও আমরা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে করার অনুমতি চেয়েছিলাম। আমরা সরকার পতনের জন্য নয়, আমাদের নেত্রীর মুক্তি ও নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে অন্যান্য গনসমাবেশের মতো ঢাকার সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের কিছু গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে ভুল তথ্য দিয়ে ভিন্ন পথে পরিচালিত করে। অথচ এর আগে পার্টি অফিসের সামনে শত শত কর্মসূচি আমরা পালন করেছি। ১০ তারিখের সমাবেশ বানচাল করার উদ্দেশ্য না থাকলে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে কেন বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করলেন? ৭ তারিখে বিএনপি পার্টি অফিসে যে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে তা ৭১ সালের ২৫ মার্চ তারিখের পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটের মতই।’
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)-এর উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অকুতোভয় যোদ্ধা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও জেটের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলমসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেখা গেল সকল গ্রেপ্তারই অন্তঃসারশূন্য। নয়াপল্টনের ঘটনায় যে মামলা করা হয়, সেখানে ফখরুল ইসলাম এবং আব্বাসের নাম ছিল না কিন্তু তাদেরকে অজ্ঞাত নামার মধ্যে ঢুকিয়ে গ্রেপ্তার করলেন। ফখরুল, আব্বাস তো দেশে অজ্ঞাত না এদেরকে সবাই চেনেন। সীমা লংঘনকারীদের ঈশ্বরও ক্ষমা করেন না। বিএনপি আন্দোলন না করলেও আপনাদের যেতেই হবে, আমি বলতে চাই এনাফ আজ এনাফ। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করেন।’
গয়েশ্বর বলেন, সরকারের পতনের পর তাদের যে নিষ্ঠুরতার ইতিহাস হবে। আর কোনো দিন কেউ চেঙ্গিস খান, হিটলার ও স্বৈরাচারদের গল্প শুনবে না।
তিনি বলেন, জনগণ যখন তার অধিকার আদায়ের সক্রিয় হয়, সাহসী হয়। আর বুক পেতে দেয় গুলি খাওয়ার জন্য। সেই জনগণকে কখনো থামিয়ে রাখা যায় না। এই শিক্ষাটা আপনাদের (সরকার) হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন ‘আমরা হিটলারের গল্প শুনেছি, চেঙ্গিস খানের গল্প শুনেছি, পৃথিবীতে বহু স্বৈরাচারের গল্প শুনেছি। আমি জানি এই সরকারের পতনের পর তাদের যে নিষ্ঠুরতার ইতিহাস হবে। আর কোনো দিন কেউ চেঙ্গিস, হিটলার ও স্বৈরাচারদের গল্প শুনবে না। সুতরাং সবকিছুই সীমা আছে। সীমা লঙ্ঘন করলে ঈশ্বর নাকি ক্ষমা করেন না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জনগণের ভোটে নির্বাচিত না জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন আমরা যতটুকু করি না কেন! আমি জানি, আপনাদের যেতেই হবে। আমি এও বলতে পারি, আন্দোলন না করলেও আপনাদের যেতে হবে। আপনার যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নাই। সুতরাং যেতেই যখন হবে। সময় মতো ঘরে যান। এখনো সময় আছে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলে যান, যা হওয়ার হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করেন। আমি এ ধরনের কাজ আর করব না। আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরে দাঁড়াবো।
প্রতিবাদ সামাবেশে বিএসপিপি’র আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।