বিশ্বজয়ী ম্যারাডোনা-মেসির মিল-অমিল ব্যাখ্যা করলেন জর্জ ভালদানো

0

ডিয়াগো ম্যারাডোনার সঙ্গে খেলেছেন জর্জ ভালদানো। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী তিনি। রিয়াল মাদ্রিদে খেলা সাবেক এই ফুটবলার পরে আরও ফুটবল দীক্ষা নিয়েছেন, কোচিং করিয়েছেন, ফুটবল অভিজ্ঞতায় ভরপুর হয়েছেন। ম্যাচের খুঁটিনাটিও তাদের চোখে এড়ায় না। ডিয়াগো ম্যারাডোনা এবং লিওনেল মেসির মধ্যে মিল-অমিল ব্যাখ্যা করার জন্য ভালভাদোর চেয়ে সেরা ব্যক্তি পাওয়া কঠিন।

ওই ভালভাদো বেশ যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েও দিয়েছেন কেন লিওনেল মেসির জেতা বিশ্বকাপ বিশেষ। সংবাদ মাধ্যম কাদেনা কোপা’কে ভালভাদো বলেছেন, ম্যারাডোনা দেশকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন তার ‘জোশ’ দিয়ে। মেসি দেশকে তৃতীয় শিরোপা এনে দিয়েছে তার বুদ্ধি দিয়ে।

ভালদানো বলেন, ‘ম্যারাডোনা এবং মেসির মধ্যে মিল হলো, তারা দু’জনই অসাধারণ প্রতিভাবান। অমিল হলো, ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোয় যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল তখন সে শারীরিকভাবে সেরা সময়ে ছিল। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৬ বছর। মেসি বিশ্বকাপ জিতেছে ৩৫ বছর বয়সে। তাকে প্রতিভার সঙ্গে জ্ঞানেরও সমন্বয় ঘটাতে হয়েছে।’

ভালদানো দাবি করেছেন, বিশ্বকাপের আগে মেসি তাকে বলেছিল, কাতারে বিশ্বকাপ জিতলে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলবেন তিনি, ‘বিশ্বকাপের আগে তার সাক্ষাৎকার করেছিলাম। সেখানে অফ দ্য ক্যামেরা লিওকে বলেছিলাম, তুমি পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছো এবং এখনও কেউ ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি। লিও আমাকে বলেছিল, যদি বিশ্বকাপ জিতি পরবর্তী বিশ্বকাপ পর্যন্ত জার্সি ধরে রাখার চেষ্টা করবো।’

তবে ভালদানো মনে করেন, ছয়টি বিশ্বকাপ খেলা অসম্ভব, ‘দেখা যাক, মেসি পারে (ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলতে) কিনা। তবে এতো বছরের ফুটবল ইতিহাসে দেখা গেছে, ছয়টি বিশ্বকাপ খেলা অসম্ভব।’ ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে সাবেক এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘অনেক বেশি চাপ অনুভব হচ্ছিল। কারণ খেললে অতো চাপ মনে হয় না। মাঠের বাইরে থেকে বেশি চাপ মনে হয়।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com