কমছে না চালের দাম, ক্রেতাদের মধ্যে অস্বস্তি
বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন ধানের চাল। সারা দেশে ব্যাপক ফলনও হয়েছে বলে দাবি করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সরবরাহ বাড়াতে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়িয়েছে সরকার। তবুও কমছে না চালের দাম। চালের পাশাপাশি বেড়েছে আটা-ময়দার দামও। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর কয়েকটি বাজারে এখন প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ এবং বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। এ ছাড়া মোটা চালের মধ্যে পায়জাম ৫৮ থেকে ৬০ এবং গুটি স্বর্ণা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পোলাও চালের। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ৮ থেকে ১০ দিনে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে পোলাও চালের দাম। বাজারে খোলা প্রতি কেজি পোলাও চাল ১৪০ থেকে ১৫০ এবং প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চাল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রচুর পরিমাণে শীতের সবজির সরবরাহ রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। নতুন আলু ৬০ টাকা থেকে কেজি প্রতি ৩৫ টাকায় নেমেছে। বাজারে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা দরে, কচুর লতি ৪০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার পিস ৩০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ছোট পাতা কপির পিস ৩০ টাকা। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। বড়বটির কেজি ৪০ থেকে টাকা, শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। বাজারে কাঁচামরিচের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
পাট শাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কলমি শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচুর শাক দুই আঁটি ২০ টাকা, মুলা শাক দুই আঁটি ২৫ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ২৫ টাকা, শাপলা ডাঁটা ১৫ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৬৮০-৭২০ টাকা এবং খাসির গোশত ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, কক মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা পিস। মুরগির দাম কিছুটা কমলেও গরু ও খাসির গোশতের দাম কমছেই না।
একইভাবে বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ আকারভেদে বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়। পাঙ্গাশ মাছ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, বড় রুইয়ের কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় কাতল মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, শিং মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বোয়াল মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা মাছ আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের কই মাছ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ মানভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, দেশী রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। দেশী আদা ১২০ টাকা ও আমদানি করা আদা ১৬০ টাকা কেজি। দেশী মসুরের ডাল ১৪০ টাকা ও মোটা মসুর ১২০ টাকা কেজি। খোলা চিনি এখনো সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ১৩ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্যাকেট চিনি নেই। আটা এক কেজির প্যাকেট ৭৫ টাকা ও দুই কেজির প্যাকেট ১৫০ টাকা। খোলা আটা ৬৫ টাকা কেজি।