সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে তিন শিক্ষার্থীর কর্মসূচি চলছে
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে তিন শিক্ষার্থী পৃথকভাবে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তরের (৪৩ ব্যাচ) শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) বিবিএর শিক্ষার্থী নাজমুল করিম ওরফে রিটু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ও ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী নাসির আবদুল্লাহ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চার দফা দাবিতে সোমবার তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আরিফুল ইসলাম। আরিফ গত শনিবার বিকেল থেকে অনশন শুরু করেন। রোববার বিকেল থেকে আরিফের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান শুরু করেন রিটু।
অন্যদিকে, শনিবার থেকে সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন নাসির আবদুল্লাহ।
আরিফের চার দফা দাবি হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সব হত্যার আন্তর্জাতিক আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা। ভারতকে সীমান্তে হত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে আর হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। সীমান্তে হত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারকে তদন্ত সাপেক্ষে দুই দেশের যৌথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জাতীয় সংসদে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করে নিন্দা জানাতে হবে। নাসিরের দুই দফা দাবি হলো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যার সব ঘটনার বিচার ও সীমান্ত সমস্যার সমাধান।
সোমবার সকাল থেকে অনেকে ব্যক্তিগত ও সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানরত আরিফ ও নাজমুলের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গেছেন।
প্রসঙ্গত, অনশনরত আরিফ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হলেও এই করমসূচী তিনি একক সিদ্ধান্তে চালাচ্ছেন বলে জানান।