ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ

0

অনেক সময় জুয়েলারি দোকানে এসে ভ্যাট কর্মকর্তারা হয়রানি করেন। নিজেদের ইচ্ছামতো জরিমানা ও ঘুষ আদায় করেন।

ভ্যাট ও আয়কর প্রশাসন ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে। ভ্যাট ট্যাক্সের অব্যবস্থাপনার কারণে জুয়েলারি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

খুলনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) জেলা কমিটির মতবিনিময় সভায় ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এসব হয়রানির অভিযোগ তুলে তা বন্ধের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগরের ইউনাইটেড ক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি সমরেশ চন্দ্র সাহা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির সহ-সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুন আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির সহ-সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদিন খোকন, কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ ও কাজী নাজনিন হোসেন।

সভায় বাজুস খুলনা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুলসহ উপজেলা ও থানা পর্যায় থেকে আগত নেতারা ছাড়াও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথি আনোয়ার হোসেন বলেন, ভ্যাট ট্যাক্সে অব্যবস্থাপনার কারণে জুয়েলারি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইদানীং কাস্টমসের লোকেরা বিভিন্ন দোকানে গিয়ে গত মাসে যে পরিমাণ ভ্যাট দিয়েছেন এবার তার দ্বিগুণ দাবি করছেন। তারা দোকানের বিক্রি যাচাইয়ের নামে হয়রানি করছেন। বিভিন্নভাবে পুলিশও হয়রানি করছে। এই ভীতিকর অবস্থার বিরুদ্ধে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত শক্ত অবস্থান নিতে হবে। জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ হলে সবাই সততার সাথে ভ্যাট দেবেন। কিন্তু ৫ শতাংশ হারে ভ্যাটের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

সভায় বক্তারা বলেন, স্বর্ণ ব্যবসা একটি সম্মানজনক ব্যবসা। এ ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে। বাজুসের দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের শীর্ষ শিল্পপরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাজুসের হাত ধরে এখন সম্মানজনক অবস্থায় জুয়েলারি ব্যবসা।

বক্তারা আরও বলেন, বাজুস অনেক পুরোনো সংগঠন। সায়েম সোবহান আনভীর সভাপতি হওয়ার পর সংগঠনটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাজুস এখন শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।

সভায় সব জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সদস্য হতে আহ্বান জানানো হয়।

খুলনায় প্রথম বারের মতো জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের নিয়ে এমন আয়োজন করা হয়েছে। এতে আনন্দিত ও উৎসাহিত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। সূত্র: বাংলানিউজ

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com