গণতান্ত্রিক মানসিকতা, ব্যবহার এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ,।

0

গণতান্ত্রিক মানসিকতা, ব্যবহার এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ,। যখনই নির্বাচিত সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবহার থেকে সরে এসে স্বৈরাচারী শাসন পদ্ধতির আশ্রয় নেয় তখনই গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটে,। তখনই রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক পর্যায়ে দুর্নীতিসহ নানা রকম অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের উদ্ভাবন ঘটে,। শুরু হয় ত্রাসের রাজত্ব এবং সংঘাত,।

সত্যিকার অর্থে স্বৈরাচারের চেয়ে গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার অধিক ভয়াবহ,। এর প্রধান কারণ হলো, গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরমুহূর্তেই বিচার বিভাগ এবং প্রচার মাধ্যমকে কুক্ষিগত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন করে ফেলে,। ফলে আইন বিভাগের পক্ষে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলীয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনোও আইনী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয় না,। এবং তা গ্রহণ করলেও আদালতের রায় কার্যকর করা হয় না,। এমনকি অসহায় বিচার বিভাগের সহায়তায় আইনী ফাঁক-ফোকরের মাধ্যমে অনায়াসে সাজাপ্রাপ্ত ক্রিমিনালদের সাজাও মওকুফ করিয়ে নেয় ক্ষমতাসীনরা,। ঠিক এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্রের সবকটি স্তম্ভকেও দলীয়করণের মাধ্যমে নিজেদেরকে পদানত করে নিচ্ছেন শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে,। আর এভাবেই আওয়ামী অপসংস্কৃতির রাজনৈতিক জাদুর কাঁঠির ক্যারিশমায় সমাজের সর্বক্ষেত্রে অন্যায় অবিচারের ক্যান্সার ছড়িয়ে দিচ্ছে রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণতন্ত্রের খোলসে,।

পরিশেষে শুধু বলবো আসুন এই গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাঁত থেকে, লাখো শহীদের আত্মত্যাগ এবং মা-বোনদের ইজ্জতের আহূতির ফলে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে বাঁচানোর জন্য ধর্ম, বর্ণ, জাতি, দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে, রাতের ভোটে নির্বাচিত ভোটডাকাত, অবৈধ আওয়ামী অপসংস্কৃতির রাজনৈতিক সরকারকে প্রতিহত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করায় অঙ্গীকার বদ্ধ হই,।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com