ইমরানকে ‘স্বীকৃত চোর’ বললেন শেহবাজ

0

মিথ্যা বিবৃতি আর ভুল ঘোষণার তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণার পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান একজন ‘প্রত্যয়িত চোর’।

পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার ও উপদেষ্টা আতাউল্লাহ তারারের সাথে লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন শেহবাজ শরিফ।

পাকিস্তানের বহুল বিতর্কিত তোশাখানা মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ থেকে পাওয়া মূল্যবান উপহার সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ বছরের জন্য ইমরানকে সব সরকারি পদ থেকে নিষিদ্ধ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ফলে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের সদস্যপদও হারিয়েছেন তিনি।

ইমরান খানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেছেন, তার পূর্বসূরী একজন ‘প্রত্যয়িত মিথ্যাবাদী এবং চোর’ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। এটি সুখের কোনও মুহূর্ত নয়, বরং কর্মের প্রতিফলন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

শেহবাজ শরিফ অভিযোগ করে বলেছেন, ইমরান খান ‘সবচেয়ে কলঙ্কিত কারচুপির’ পর ক্ষমতায় এসেছিলেন। রাষ্ট্রীয় সব উপহার নিলামের মাধ্যমে বিক্রির পর সেই অর্থ কোষাগারে যাবে বলে পিটিআই প্রধান দাবি করেছিলেন।

ইমরান খান পাকিস্তানকে অসম্মান করেছেন উল্লেখ করে শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অর্থ রাজকোষে জমা হলে জাতি আপনাকে স্যালুট জানাত। আপনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও আমিও স্যালুট করতাম।’

পিটিআই প্রধানের সাথে নিজের তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় উপহার কিনে নিতে পারবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি চিঠি পেয়েছিলেন। আমি সেই চিঠির জবাবে বলেছিলাম, না, ধন্যবাদ। সেই উপহার আমি তোশাখানায় জমা দিয়েছিলাম।

গত আগস্টে পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের সবচেয়ে বড় শরিক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ- নওয়াজের (পিএমএলএন) সদস্য মোহসনি নওয়াজ রানঝা ইমরানের বিরুদ্ধে তোশাখানা মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে বিদেশি বিশিষ্টজনদের দেওয়া উপহার কিনলেও নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে সেগুলোর উল্লেখ করেননি।

পরে শুনানিতে বিচারক বেঞ্চ থেকে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশি-বিদেশি সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি— তার সঠিক তালিকা তিনি নির্বাচন কমিশনকে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এসব উপহার নিয়ে ব্যাপকমাত্রায় দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করে বেঞ্চ।

পরে ইমরানের দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাবে তারা। নির্বাচন কমিশনে শুনানিতে ইমরানের আইনজীবী আলি জাফর জানান, পিটিআই চেয়ারম্যান বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া চারটি উপহার বিক্রি করেছেন ঠিকই। কিন্তু সেগুলোর রসিদ আয়কর রিটার্নে দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: ডন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com