খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ দুপুর ২ টায়
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ শনিবার (২২ অক্টোবর)। এ উপলক্ষে সব আয়োজন সম্পন্ন করছে বিএনপি।
দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে গণসমাবেশ।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতভর নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে তৈরি করা হয়েছে সমাবেশের মঞ্চ।
সমাবেশ মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টানানো হয়েছে ১২০টি মাইক। ৮টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে প্রজেক্টর।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সমাবেশের সময় থাকবে ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি। এছাড়া শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করবে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মঈন খান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও খুলনার গণসমাবেশের প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা দিক-নির্দেশনামূলক বক্তৃতা দেবেন।
স্থল ও নৌ রুটে সব ধরনের গণপরিবহন ধর্মঘটের মধ্যদিয়ে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়েছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য ও মিডিয়া সাব কমিটির আহ্বায়ক এহতেশামুল হক শাওন বলেন, চাল, ডাল, তেল, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ও খুন-গুম, দুর্নীতি-দুঃশাসনের প্রতিবাদ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, সংসদ বিলুপ্ত ও সরকার পতনের দাবিতে আজ (শনিবার) খুলনায় বিএনপির তৃতীয় বৃহত্তর বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে দুপুর ২টা থেকে এ সমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশে খুলনা বিভাগের ১০জেলার ৫৯টি উপজেলা থেকে যোগ দেবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। শত বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ স্থলে শুক্রবার রাতে এসে অবস্থান করছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। বহু বাধা কাটিয়ে এখানে আসতে পেরে তারা আনন্দিত। রাতে শুয়ে-বসে, আড্ডা-গল্পে আর বক্তব্য শুনে তাদের সময় কাটেছে।
এদিকে সমাবেশ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনো অবনতি না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক ও কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে এ সমাবেশ ঘিরে কোনো নাশকতা করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।