খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহন বন্ধে আ.লীগের পরাজয় দেখছে গণতন্ত্র মঞ্চ
খুলনায় শনিবার অনুষ্ঠেয় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়েছে বলে মনে করে সাতদলীয় রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা অভিযোগ করেছেন, ‘মানুষের ঢল রুখতে না পেরে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমাবেশ পণ্ড করতে পরিবহন বন্ধ করে অঘোষিত হরতাল করছে এই সরকার। এটা আওয়ামী লীগের পরাজয় ছাড়া আর কিছু নয়।’
আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন।
‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হোন’, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাও’ ও ‘রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বাধা, হামলা-মামলা, দমন-পীড়ন, গুলি-হত্যা বন্ধের’ স্লোগান জানিয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা (গণতন্ত্র মঞ্চ) এই গণবিরোধী সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিতে চাই। খেতে না পারা মানুষ প্রতিদিন সরকারকে গালি দিচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রাখবো। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করবো। আমরা ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রের খোলনলচে পাল্টে ফেলবো।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মানুষের জীবন নাকাল। সেই নাকাল জীবনকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার। কারণ, সরকার নিজেই সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। গণ-আন্দোলনের ভয়ে নার্ভাস সরকার গত দুই মাসে পাঁচ নাগরিককে মিছিল সমাবেশে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা করতে চাই। সংবিধান সংস্কার, ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি, শাসনতান্ত্রিক সংস্কারসহ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ইতোমধ্যে সাত দফা উত্থাপন করেছি।’
সাকি উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে না এলে ভারত বা অন্য কোনও রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে থেকে এবং হামলা-মামলা কিংবা গুলি করে শেষ রক্ষা হবে না, গদি রক্ষা হবে না। আমরা সরকার পতনের লড়াইয়ের সূচনা করেছি। রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগই পরিত্যক্ত হচ্ছে।’
নুরুল হক নূর বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম দিগুণ হয়েছে, সরকার কোনও ভ্রুক্ষেপ করছে না। কৃষি উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, সার, জ্বালানির দাম বাড়ায় কৃষক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, খাদ্যঘাটতি প্রকট হবে।’
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘দেশের মানুষ আজ বাঁচবে কি বাঁচবে না, এমন একটি লড়াই আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে। এই দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে এই স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে।’